রাঙামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
Published: 29th, September 2025 GMT
ধর্ষণের প্রতিবাদ, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা এবং হামলা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ ও বিচারসহ আট দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।
অবরোধের প্রথম দিন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটি-খাগড়ছড়ি ও রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ আছে। তবে, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এছাড়া, রাঙামাটি শহরে আভ্যন্তরীণ যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধের সমর্থনে শহরের কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
জুম্ম ছাত্র-জনতার ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, “২৭ সেপ্টেম্বর থেকে খাগড়াছড়িতে আমাদের শান্তিপূর্ণ অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ সততার সাথে চলছে। কিন্তু, গত কয়েক দিনে খাগড়াছড়ি শহরজুড়ে সেনাবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি, মারধর ও ধরপাকড়ের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। গুইমারায় জুম্ম ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ এবং সেটলারদের দ্বারা দোকানপাট ও বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের নির্মম প্রতিবেদন এসেছে। সেনা ও সেটলারদের হামলায় চারজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আমরা এই বর্বরতা ও ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি কঠোরভাবে নিন্দা জানাই এবং প্রতিবাদ করছি।”
আরো বলা হয়েছে, “দল-মত, ধর্ম নির্বিশেষে জুম্ম জনগণকে আমরা আহ্বান জানাই, এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। কিন্তু, আমাদের সংগ্রাম সদা আইনগত, শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক থাকবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের সড়ক অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হলো এবং সকল পর্যটন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে।”
খাগড়াছড়িতে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
ঢাকা/শংকর/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ম ম ছ ত র জনত অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ