‘চ্যারিয়টস অব ফায়ার’—বিশ্বাস, সংগ্রাম আর হার না–মানার গল্প
Published: 30th, September 2025 GMT
‘আ ম্যান ফর অল সিজনস’ (১৯৬৬) ইতিহাসভিত্তিক সিনেমা। স্যার টমাস মুরকে নিয়ে বানানো। এ সিনেমার গল্পের ছাঁচে বানানো যায়, এমন একটা গল্প খুঁজছিলেন প্রযোজক ডেভিড পাটনাম। একটা চরিত্র, যে বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ এবং খেলাধুলার বিশেষ ভূমিকা থাকবে।
পাটনাম গল্পটা আবিষ্কার করেছিলেন। সেটাও দুর্ঘটনাবশত। ১৯৭৭ সাল। ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মালিবুতে ভাড়া বাসায় শয্যাগত পাটনামের বই পড়ার অভ্যাস ছিল। তখন ‘অ্যান অ্যাপ্রুভড হিস্ট্রি অব দ্য অলিম্পিক গেমস’ বইয়ে পাটনাম আবিষ্কার করলেন তাঁর চরিত্র, গল্পও।
ডাক পড়ল ব্রিটিশ অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার কলিন ওয়েলান্ডের। পাটনামকে চিত্রনাট্য লিখে দিতে হবে। ওয়েলান্ড অমানুষিক গবেষণা করে দাঁড় করালেন অস্কারজয়ী ‘চ্যারিয়টস অব ফায়ার’ বা অগ্নিরথ।
গল্পটা ১৯২৪ প্যারিস অলিম্পিকে দুই ব্রিটিশ দৌড়বিদ এরিক লিডেল ও হ্যারল্ড আব্রাহামসের। শেষের জন্য ইংরেজ ইহুদি, কেমব্রিজের ছাত্র। ট্র্যাকে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী। লিডেল জাতে স্কটিশ, কাজে ধর্ম প্রচারক আর দৌড়ান সৃষ্টিকর্তার জন্য। রোববার দৌড়ান না। সেদিন ‘স্যাবাটারিয়ানিজম’। বিনোদনমূলক কাজকর্ম ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার উপাসনায় কাটানোর দিন। সে জন্য লিডেল ’২৪ অলিম্পিকে নিজের পছন্দের ১০০ মিটার দৌড়ের হিটেও অংশ নেননি। সেদিন রোববার ছিল তাই।
লিডেল ও আব্রাহামসের চরিত্রে অভিনয় করেন ইয়ান চার্লসন ও বেন ক্রস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প টন ম
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে