চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
Published: 30th, September 2025 GMT
সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার শারদীয় দুর্গাপূজায় টানা চার দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ ছুটির সময়ে অনেকে ঘুরতে যান দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটেও চলবে বিশেষ ট্রেন।
ছুটি উদযাপনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের সুবিধার্থে এ বিশেষ সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আরো পড়ুন:
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
বিশ্ব পর্যটন দিবসে কক্সবাজারে উৎসবের আমেজ
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিকুর রহমান জানিয়েছেন, টানা চার দিনের ছুটি উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে ‘ঢাকা স্পেশাল’। ট্রেনটি পৌনে ৩টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম স্পেশাল ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। একই শিডিউল মেনে ট্রেনটি চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
ট্যুরিস্ট স্পেশাল চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। বিশেষ এই ট্রেন ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে সকাল সাড়ে ১১টায়। একই শিডিউল মেনে ট্রেনটি ৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন চলাচল করবে।
প্রতিটি বিশেষ ট্রেনে ১৮টি বগি থাকবে। দিনে আসন থাকবে ৮৩৪টি এবং রাতের বেলায় ৭৮৯টি। ভাড়া নিয়মিত ট্রেনের মতো।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী