রাজধানীর বাড্ডার নিমতলীর শ্রী শ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালী মন্দিরে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের মালামালসহ ৩০ রাউন্ড গুলি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার এবং এক উপ-পরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শকসহ ৫ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো.

তারেক মাহমুদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

পূজার ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন

দুর্গোৎসবে মণ্ডপে মণ্ডপে নায়িকা পূজা চেরি

তিনি বলেন, “কর্তব্যে অবহেলার জন্য বাড্ডা থানার এসআই মোবাশ্বিরসহ একজন এএসআই ও ৫ জন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় বাড্ডা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

ডিসি তারেক মাহমুদ বলেন, “শ্রী শ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালী মন্দিরে ডিউটিরত পুলিশ ফোর্সদের চুরি যাওয়া মালামাল ও গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এটি স্পষ্টত দায়িত্ব অবহেলা। সেজন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ হিসেবে ওসি, এক এসআই, এক এএসআইসহ অভিযুক্ত ও দায়ী পাঁচ পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

জানা গেছে, বাড্ডার নিমতলির শ্রী শ্রী মহাদেব আশ্রম ও কালী মন্দিরে ডিউটিরত পুলিশ ফোর্সদের থাকার জন্য মন্দিরের বাউন্ডারির মধ্যে থাকা একটি নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে মঙ্গলবার ভোরে ঘুমিয়ে থাকা ৪ জন ফোর্স ও ৩ জন আনসার সদস্যের পাশ থেকে তাদের ৪টি ব্যাগ, ২টি মানিব্যাগ ও ৩টি মোবাইল চুরি হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাগে ৩০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছিল। এরপর সকাল পৌনে ১০টায় পুলিশ মণ্ডপ সংলগ্ন একটি পতিত জমির পাশ থেকে ব্যাগগুলো উদ্ধার করে। চুরি হওয়া গুলিগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ