বাংলাদেশ সফর করলেন টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বেনেডিক্টে শিলব্রেড ফাসমার। এ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন বলে জানানো হয়েছে এক বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের মালিকদের একটি টেলিনর। তাদের শেয়ারই সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণফোন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টেলিনরের সিইওর বাংলাদেশ সফর এ দেশের মানুষের প্রতি টেলিনরের আন্তরিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। বেনেডিক্টের প্রথম গন্তব্য ছিল বাজার; যেখানে তিনি পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।

বেনেডিক্ট পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও আকাঙ্ক্ষাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন। টেলিনরের অন্যতম লক্ষ্য গ্রাহকদের প্রয়োজন বোঝা।

বিজ্ঞপ্তিতে টেলিনরের সিইও বেনেডিক্টে শিলব্রেডকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, টেলিনরের সবচেয়ে গতিশীল বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এবং গ্রামীণফোনের সহকর্মী ও অংশীদারদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তিনি উপলব্ধি করেছেন, সংযোগ বা কানেকটিভিটি কীভাবে একটি সমাজজুড়ে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রুপ সিইও হিসেবে বেনেডিক্টের প্রথম বাংলাদেশ সফরে তাঁকে স্বাগত জানাতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সফরকালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা এবং গ্রামীণফোনের এন্টারপ্রাইজ গ্রাহকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেনেডিক্টে। এ সময় বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতির অংশীদার হিসেবে টেলিনরের ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। টেলিনরের সিইও গ্রামীণফোন কর্মীদের সঙ্গেও সময় কাটান এবং অফিসে ঘুরে ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ সফর গ র হকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচির আয়োজন করেন মনোনয়নবঞ্চিত এক প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকেরা।

নওগাঁ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করেছে দলটি। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী।

খাজা নাজিবুল্লাহর সমর্থকেরা বেলা ১১টার দিকে নজিপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় নওগাঁ-নজিপুর সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ কর্মসূচিতে পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা থেকে আসা নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এতে অংশ নেন। মানববন্ধনের আগে জিরো পয়েন্ট এলাকায় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিতর্কিত ব্যক্তি সামসুজ্জোহা খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের সময়ে হরতালসহ বিভিন্ন আন্দোলনে খাজা নাজিবুল্লাহর নেতৃত্বে তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিলেন। তাঁরা নওগাঁ-২ আসনে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে খাজা নাজিবুল্লাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানান।

নজিপুরের সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজিবুল্লাহ ত্যাগী, পরীক্ষিত ও বারবার কারা নির্যাতিত নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই পত্নীতলা ও ধামইরহাট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। অথচ তৃণমূলের মতামত অগ্রাহ্য করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে। খাজা নাজিবুল্লাহকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হলে তৃণমূল বিএনপি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

ধামইরহাট উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী সব আন্দোলনে যাঁরা মাঠে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা সবাই খাজা নাজিবুল্লাহর পক্ষে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হোক—এটি শুধু বিএনপির নেতা–কর্মীদের চাওয়া নয়, দুই উপজেলার সব মানুষের চাওয়া। তাই এখানে মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে আহ্বান জানাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সামসুজ্জোহা খান বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’

মনোনয়নবঞ্চিত খাজা নাজিবুল্লাহ বলেন, ‘সব আন্দোলন–সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিলাম। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। আমরা কেউ দলের ঊর্ধ্বে নই। দলের জন্য কাজ করছি। পুনর্বিবেচনা হলে মনোনয়ন পেতে পারি। দলই সবার আগে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য রেজাউল ইসলাম, ধামইরহাট মহিলা দলের সহসভাপতি নাহিদা সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ধামইরহাট শাখার আহ্বায়ক রকিবুল হাসান, পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আবু তাহের প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ