জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে খাগড়াছড়ি।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকেই কিছু কিছু দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। শহরেও যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। টানা চার দিন পর শহরের দোকানপাটগুলো খুলতে শুরু করেছে।
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ ডেকেছিল জুম্ম ছাত্র-জনতা নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে দেওয়া ঘোষণায় জানানো হয়, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা বহাল আছে। অবরোধ স্থগিত হলেও এখনো জনমনে আতংক রয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি ও গুইমারার সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের বিষয়টি সিভিল সার্জন ডা.
তিনি বলেছেন, “রিপোর্টটি পুলিশের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।”
অবরোধ চলাকালে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতার ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। এছাড়া গুইমারায় রামসু বাজারসহ বহু দোকানপাট, বসতবাড়ি ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
অবরোধ না থাকলেও খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে। সেনা টহলের পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি বিআরটিসি কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা বিদ্যুৎ চাকমা জানান, সকাল থেকে খাগড়াছড়ি গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে এবং শহরের গাড়ি প্রবেশ করছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করছি সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হবে।”
ঢাকা/রূপায়ন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।