ঢাকার সাভারের শোভাপুরসহ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্থানীয়দের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল

খাগড়াছড়িতে আজও সড়ক অবরোধ, ১৪৪ ধারা বহাল

স্থানীয়রা জানান, শোভাপুরসহ তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৩টি এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন একটি জমি ভরাট করা হয়। জমিতে এসব এলাকার পানি জমা হতো। জমি ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দা জোসনা বেগম বলেন, “আগে পানি যাওয়ার মতো যেটুকু ব্যবস্থা ছিল, এখন সেটাও আটকে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বেড়ে ঘরে ঢুকে গেছে। ড্রেনের নোংড়া পানির কারণে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেছে। বাচ্চাদের পড়ালেখা, রান্না সব কিছুই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।” এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সিয়াম সাদ চৌধুরী নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে পানি যাওয়ার একমাত্র যেই ব্যবস্থা ছিল, সেটিও আটকে দেওয়া হয়েছে। এখন ঘরের ভেতর পানি। আমাদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, আমাদের আর কোনো দাবি নেই।”

ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আবুবকর সরকার। তিনি বলেন, “যে জমি দিয়ে আগে পানি নেমে যেত, সেটি সম্প্রতি ভরাট করে ফেলায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। যে জমি ভরাটের কথা বলা হচ্ছে, সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ  করে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সেই চেষ্টা করছি।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ