টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
Published: 1st, October 2025 GMT
আশ্বিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যার প্রভাব পড়েছে নাগরিক জীবনের ওপর।
আজ বৃষ্টির পানিতে রাজধানীর রায়েরবাগ, নিউমার্কেট, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, বংশাল, সিক্কাটুলি, নাজিমুদ্দিন রোড ও পুরান ঢাকার কয়েকটি সড়ক ও গলিপথ পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত অনেক জায়গায় হাঁটুপানি পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে।
আরো পড়ুন:
শাহজাদপুরে নির্মাণের এক মাসের মাথায় সড়কে ধস
বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে নদীতে, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
জলাবদ্ধতা দূর করতে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বিভিন্ন ওয়ার্ডে জরুরি সাড়াদান (ইমার্জেন্সি রেসপন্স) টিম ও ম্যানহোল পরিষ্কারকারী দল কাজ করছে। তারা বিভিন্ন স্থানে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে পানি সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাজিরাবাজর এলাকায় কথা হয় ডিএসসিসির কর্মী সোলায়মানের সঙ্গে। তিনি জানান, বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় আউটলেট ও খাল-নদীর পানির স্তর প্রায় সমান হয়ে যাওয়ায় নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এতে পানি সরে যেতে সময় লাগছে বেশি।
সিক্কাটুলির বাসিন্দা হাসিবুর রহমান জানান, সকাল থেকেই রাস্তায় পানি জমে আছে। হাঁটুপানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এসে ম্যানহোল খুলে পানি সরানোর কাজ শুরু করেন।
পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিরুর আলম বলেন, “এখনো অনেক এলাকা পানির নিচে। গলিগুলোও ডুবে আছে। সিটি করপোরেশন কাজ করলেও পরিস্থিতির উন্নতি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে।”
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় ঘাটতি এবং সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবের কারণেই প্রতিবছর বৃষ্টিতে এ ধরনের জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড.
তিনি আরো বলেন, “বর্ষা মৌসুমে আমরা যে একই ধরনের সংকটে পড়ছি, তা প্রমাণ করে—পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাঝে বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে। দীর্ঘমেয়াদি পানি নিষ্কাশন পরিকল্পনা এবং খাল পুনরুদ্ধার ছাড়া সমস্যা সমাধান হবে না।”
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
আশ্বিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যার প্রভাব পড়েছে নাগরিক জীবনের ওপর।
আজ বৃষ্টির পানিতে রাজধানীর রায়েরবাগ, নিউমার্কেট, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, বংশাল, সিক্কাটুলি, নাজিমুদ্দিন রোড ও পুরান ঢাকার কয়েকটি সড়ক ও গলিপথ পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত অনেক জায়গায় হাঁটুপানি পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে।
আরো পড়ুন:
শাহজাদপুরে নির্মাণের এক মাসের মাথায় সড়কে ধস
বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে নদীতে, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
জলাবদ্ধতা দূর করতে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বিভিন্ন ওয়ার্ডে জরুরি সাড়াদান (ইমার্জেন্সি রেসপন্স) টিম ও ম্যানহোল পরিষ্কারকারী দল কাজ করছে। তারা বিভিন্ন স্থানে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে পানি সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাজিরাবাজর এলাকায় কথা হয় ডিএসসিসির কর্মী সোলায়মানের সঙ্গে। তিনি জানান, বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় আউটলেট ও খাল-নদীর পানির স্তর প্রায় সমান হয়ে যাওয়ায় নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এতে পানি সরে যেতে সময় লাগছে বেশি।
সিক্কাটুলির বাসিন্দা হাসিবুর রহমান জানান, সকাল থেকেই রাস্তায় পানি জমে আছে। হাঁটুপানি ডিঙিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এসে ম্যানহোল খুলে পানি সরানোর কাজ শুরু করেন।
পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিরুর আলম বলেন, “এখনো অনেক এলাকা পানির নিচে। গলিগুলোও ডুবে আছে। সিটি করপোরেশন কাজ করলেও পরিস্থিতির উন্নতি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে।”
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থায় ঘাটতি এবং সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবের কারণেই প্রতিবছর বৃষ্টিতে এ ধরনের জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “ঢাকায় জলাবদ্ধতা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে যাওয়ার মতো খাল, নালা ও ড্রেনের যে নেটওয়ার্ক থাকা দরকার, তার অনেকটাই দখল হয়ে গেছে বা অব্যবস্থাপনায় আছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে।”
তিনি আরো বলেন, “বর্ষা মৌসুমে আমরা যে একই ধরনের সংকটে পড়ছি, তা প্রমাণ করে—পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাঝে বিশাল ফাঁক রয়ে গেছে। দীর্ঘমেয়াদি পানি নিষ্কাশন পরিকল্পনা এবং খাল পুনরুদ্ধার ছাড়া সমস্যা সমাধান হবে না।”
ঢাকা/এএএম/মাসুদ