চালকের গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাই, বিক্রি করতে গিয়ে ধরা
Published: 1st, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের শেখপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে খুন করেন আটক ব্যক্তিরা। পরে ছিনিয়ে নেওয়া অটোরিকশাটি বিক্রি করতে গিয়ে তাঁরা আটক হয়েছেন। অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অটোরিকশাচালকের নাম হাবিবুর রহমান (১৬)। সে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে সে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের গোডাউন সড়কের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকত। অটোরিকশাটি ভাড়ায় চালাত সে।
আটক দুজন হলেন মো.
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে ভোরে হাবিবুর রহমানের অটোরিকশায় উঠেছিলেন তিন ছিনতাইকারী। রাস্তা ফাঁকা পেতেই হাবিবুরের ওপর আক্রমণ শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম ও গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়। পরে এই অটোরিকশা বিক্রি করতে বাপ্পী ও রাজীব স্থানীয় একটি গ্যারেজে যান।
পুলিশ জানায়, গ্যারেজের মালিক অটোরিকশাটির দাম জানতে চান। তবে মাত্র ১০ হাজার টাকা দাম চাওয়া হলে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি অটোরিকশায় লিখে রাখা একটি মুঠোফোন নম্বরে ফোন দেন। তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, অটোরিকশাটি ছিনতাই হয়েছে। এ সময় চারপাশে থাকা লোকজন দুজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা চালককে খুন করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এর আগে ভোরে অটোরিকশাচালকের লাশটি মহাসড়কে একটি ময়লার ভাগাড়ের পাশ থেকে উদ্ধার হয়।
অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমানের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে উপজেলা অটোরিকশা শ্রমিক দল। আজ বেলা ১টায় সীতাকুণ্ড থানার সামনেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ ধ র চ লক র ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।