ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কার, ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ মানুষ
Published: 1st, October 2025 GMT
ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট খানাখন্দ ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সংস্কার কাজ। ইট-বালু গাড়ির চাকায় একাকার হয়ে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে সংস্কার করা মহাসড়কের অংশে। ফলে ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মহাসড়ক ব্যবহারকারী পথচারীসহ বিভিন্ন মানুষ। এতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর থেকে টরকী বন্দর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, ইট-বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কারের চিত্র।
আরো পড়ুন:
প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা
তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিককে মামলায় জড়ালো পুলিশ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষণের ফলে মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর, বাইচখোলা, মাহিলাড়া, বেজহার, কাসেমাবাদ, আশোকাঠী, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড, মদিনাস্ট্যান্ড, টরকী বন্দর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে খানাখন্দসহ ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পিচ-পাথর ব্যবহার করতে না পারায় ইট ও বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে মহাসড়ক সচল রাখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ও বাইচখোলা অংশে পিচ এবং পাথর দিয়ে মহাসড়কে সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কের গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি বাসস্ট্যান্ডে পিচ ও পাথর দিয়ে সড়ক সংস্কার না করে ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইটের সুরকি আর বালু বোঝাই গাড়ি চলাচল করায় ধুলো ঝড়ে পরিণত হচ্ছে। ফলে মহাসড়কের আশপাশের দোকান ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহনের চালক ও পথচারীদের মুখে মাক্স কিংবা রুমাল ব্যবহার করে চলতে হচ্ছে। যাদের মাক্স বা রুমাল নেই, তারা হাত দিয়ে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করছেন।
গৌরনদী ও টরকী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অথচ এখনো ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কার অব্যাহত রেখেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে সাধারণ মানুষের আরো ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আরো বলেন, ধুলার কারণে দোকানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এভাবে চলতে থাকলে দোকানপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিত্বে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়া অংশে ইট-সুরকি এবং বালু দিয়ে সংস্কার না করে পিচ-পাথর দিয়ে দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল সড়ক ও জনপদ ব ভ গ র গ রনদ আর ব ল
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে: মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বিজিবি হবে সীমান্তের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক। সীমান্তবর্তী মানুষের যেকোনো সংকটে বিজিবি পাশে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের এসআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সুপেয় পানির প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপকূলীয় জনপদে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিজিবি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের আওতায় সৌরচালিত গভীর নলকূপ, পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট ও সংরক্ষণ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দুর্গম ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার কারণে উপকূলের মানুষ পানি সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। উপকূলীয় মানুষদের প্রধান সমস্যা সুপেয় খাবার পানি।’
পানির প্রকল্প উদ্বোধন শেষ শতাধিক দুস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
এ সময় বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ নওফেল মাহমুদ, সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, শরীফুল ইসলাম, নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের (১৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহরিয়ার রাজীব, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।