জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলব, বাংলাদেশের মানুষ ওই একটা প্রশ্নে আপসহীন, শেখ হাসিনা খুনি—বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে এই লেখাটা রক্ত দিয়ে লেখা হয়ে গেছে। যাঁরা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সুবিধাভোগী, তাঁরা তাঁদের জায়গা থেকে এইটা ভুলে যেতে পারেন, কিন্তু যে মা তাঁর ছেলের লাশ নিজের হাতে ছুঁয়েছেন, ওই মা কিন্তু এটা ভুলতে পারবেন না। ওই মা যত দিন না ভুলবেন, আমরা যাঁরা এই অভ্যুত্থানে রাজপথে লড়াই করেছিলাম, আমরা এটা ভুলব না, ভুলতে দেবও না।’

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় বুধবার বিকেলে মালিগাঁও তেঁতুলতলা দুর্গামন্দিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সারজিস। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলি এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর কোনো রাজনীতি চলবে না।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে যখন আমাদের আবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নামতে হয়, এটাই হচ্ছে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা। দ্বিতীয়ত, যখন মানুষ আবার রাজপথে নামল তাঁদের জায়গা থেকে এবং নামার পরে মানুষ রাজপথে দিনের পর দিন আন্দোলন করল এবং যমুনা ঘেরাওয়ের পর্যায় পর্যন্ত গেল, তখন তারা এই রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে ধাপ সেই ধাপে গেল।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি যদি এখন বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের মানুষের এত ত্যাগ–তিতিক্ষা সবকিছু ভুলে গিয়ে, বাংলাদেশের মানুষের এত রক্ত বিসর্জন-প্রাণ বিসর্জন ভুলে গিয়ে নিজের ইমেজের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার জন্য সুশীল সাজতে শুরু করেন এবং এই অভ্যুত্থানের মতো একটা বড় ঘটনা ভুলে গিয়ে তিনি যদি এই স্টেটমেন্ট আসলে দিয়ে থাকেন যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আবার সচল করা হতে পারে, তাহলে আমরা শুধু একটা কথাই বলি, বাংলাদেশের মানুষ ছাড় দিতে পারে, কিন্তু ছেড়ে দেবে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জপথ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ