গ্রেটা থুনবার্গসহ সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৭১ জনকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল
Published: 6th, October 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযানের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে আটক ১৭১ জন মানবাধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি নৌযান সাগরে আটকে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা নৌযানগুলোয় থাকা প্রায় ৪৭০ মানবাধিকারকর্মীকে আটক করে।
ইতিমধ্যে ফ্লোটিলার বেশ কিছু সদস্যকে ফেরত পাঠিয়েছে ইসরায়েল। তাঁরা দাবি করেছেন যে ইসরায়েলের আটককেন্দ্রে থাকা অবস্থায় তাঁরা বাজে আচরণের শিকার হয়েছেন।
তবে ইসরায়েল এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লোটিলাকে ‘পিআর স্টান্ট’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা আরও বলেছে, আটক মানবাধিকারকর্মীদের আইনগত অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা ‘মিথ্যা প্রচার’ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার থুনবার্গকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল। এর আগেও তিনি সমুদ্রপথে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখনো সফল হননি।
ইসরায়েল জানিয়েছে যে ১৭১ জনকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, পোল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, লিথুনিয়া, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, সার্বিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে থাকা মানুষেরা গাজার ওপর আরোপিত নৌ–অবরোধ ভাঙতে চেয়েছিলেন। তাঁরা অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতীকী ত্রাণ পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। তবে ইসরায়েলি বাহিনী সেসব নৌযান আটকে দেয় এবং অধিকারকর্মীদের আটক করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনহাঁটুতে ভর দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, শৌচাগারের পানি পান করে থাকতে হয়েছে, বললেন ফ্লোটিলার যাত্রীরা৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু উপদেষ্টার চরিত্রের শেষ দেখতে চান সারজিস
‘‘উপদেষ্টাদের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছেন’’— জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যাদের ব্যাপারে এমন মন্তব্য করেছেন, তাদের শেষটা দেখতে চান দলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সারজিস বলেন, ‘‘তাদের সম্পর্কে আমাদের আহ্বায়ক বলেছেন। আমরা তাদের চরিত্রের শেষটা দেখতে চাই। কারণ বিপ্লবটাকে ধারণ করে তাদের যেভাবে একেকটা সংস্কার করার কথা ছিল, যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, যে অপকর্মের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, সেগুলো যখন আবার সামনে আসে, তখন এর দায় তাদের নিতে হবে। তাদের জায়গা থেকে যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিচার, রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, সব জায়গায় ভূমিকা পেতাম, তাহলে এই অবস্থাটা দেখতে হতো না।’’
আরো পড়ুন:
শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব, অন্য অপশন নেই: সারজিস
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া ছাড়া প্রত্যাশিত আচরণ পাবে না ভারত: সারজিস
সারজিস আলম বলেন, ‘‘সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে গোড়ায়। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে প্রশাসন, পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীতে যদি এক হাজারও কালপিট থেকে থাকে, যারা দলীয় বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিচার হলে এ অবস্থা দেখা লাগত না। তারা (উপদেষ্টারা) ফেইল করেছেন ওই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যারা উপদেষ্টারা আছেন, তারা হয়ত ভাবছেন এখন আবার কঠোর হয়ে সিদ্ধান্তটা নেওয়া দরকার, সেটা সম্ভব নয়। এ জন্য তারা কীভাবে একটা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে স্বসম্মানে যেতে পারেন, সেটা হয়ত ভাবছেন। কিন্তু ওই চিন্তা যেন তারা না করেন। এতবড় অভ্যুত্থানের পর তারা যদি এভাবে চলে যেতে চান, তাহলে তারা আর বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশ্রয় পাবেন না। এভাবে চুপিচুপি দায়সারা চলে যাওয়ার চেয়ে, দেশের মানুষের জন্য কিছু করে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটাও সম্মানের। আমরা অনুরোধ করব, তারা যেন অভ্যুত্থানটা ধারণ করে তাদের দায়িত্বটা ঠিকমত পালন করেন।’’
এর আগে সারজিস আলম জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরুতে তিনি জেলার নেতাদের সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর দলীয় কার্যক্রম, আগামী দিনের রাজনীতি, সংকট-সম্ভাবনা নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর মহানগর কমিটির নেতাদের সঙ্গে সভা করেন।
সভায় এনসিপির রাজশাহীর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল