জাপানে বৃত্তিতে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে টোকিও গ্লোবাল পার্টনার স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি হতে পারে আপনার অন্যতম সেরা একটি প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের আওতায় শিক্ষার্থীরা টোকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে (টিএমইউ) স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। জাপানে টোকিও গ্লোবাল পার্টনার স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দিয়ে থাকে।

টোকিও মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত সরকারি গবেষণামূলক উচ্চশিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আজকে জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক রোবট প্রচলনে গবেষণা করছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সাইফুল ২ ঘণ্টা আগে

সুযোগ-সুবিধা—

টোকিও গ্লোবাল পার্টনার বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত।

বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।

শিক্ষার্থী বিমানভাড়া, ভর্তি ফি পাবেন।

উপবৃত্তি হিসেব মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়েন পাবেন।

বৃত্তির নীতিমালা অনুযায়ী আরও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা—

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে স্নাতক ডিগ্রির সনদ থাকতে হবে। আর পিএইচডির জন্য আবেদন করতে স্নাতকোত্তরের সনদ থাকতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানে কাজের অভিজ্ঞতা দেখাতে হতে পারে।

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫ছবি: ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, সমাবর্তন উপলক্ষে আসা হাজারো গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, অতিথি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয় উৎসব ও উদ্দীপনার মিলনস্থলে।

আরো পড়ুন:

হাবিপ্রবিতে স্কলার সামিট অনুষ্ঠিত

এবারো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেবে হাবিপ্রবি

শনিবার (২২ নভেম্বর) এ উপলক্ষ্যে দুপুর দেড়টায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সমাবর্তনস্থলে যায়।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো পাঠ শেষে  শিক্ষা উপদেষ্টা সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এর সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।

এরপর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিনগণ গ্র্যাজুয়েটদের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে ডিগ্রি প্রদানের সমার্পণ করেন। ডিগ্রি প্রদান শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ‘আচার্য স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন হাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান। 

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির দমননীতি অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা যে সাহস, মনোবল ও  দেশপ্রেম প্রদর্শন করেছে, তা ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। দেশ আজ নতুন সূচনার পথে। দীর্ঘ দেড় দশকের দমন—পীড়নের অবসান ঘটিয়ে আমরা একটি মুক্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশে ফিরেছি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

তিনি বলেন, “দেশের সীমিত সম্পদের মধ্যেও গবেষণা উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছে।” তিনি শিক্ষকবৃন্দকে গবেষণা জোরদার করা, শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা এবং নতুন জ্ঞানের অনুসন্ধানে আরো অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, “১৮ কোটি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের কাছে একটি পবিত্র আমানত। প্রশাসনিক, আর্থিক ও একাডেমিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।”

এবারের দ্বিতীয় সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি মিলিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেন।

ঢাকা/সাকিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছেলেবেলার যে বাধা পেরিয়ে মিস ইউনিভার্স হয়েছেন ফাতিমা বশ‍
  • হাবিপ্রবিতে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত