‘ক্যারিয়ার আগে, বিয়ে পরে’ বলতে বলতেই ৫১ বছরে ডিক্যাপ্রিও
Published: 11th, November 2025 GMT
নিজেকে বৈচিত্র্যময় এক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। শুধু তারকা হিসেবে নয়, তিনি সময়ের সঙ্গে মানবিক ব্যক্তি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। হলিউডের ইতিহাসে যাঁর নামের সঙ্গে ব্যবহৃত হয় নানা বিশেষণ। নিষ্ঠা, বৈচিত্র্য ও অনবদ্য অভিনয়ে তিনি সেরা। এই অভিনেতা আর কেউ নন, তিনি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। আজ তাঁর জন্মদিন। তিনি ১১ নভেম্বর, আজকের এই দিনে জন্মেছিলেন। কীভাবে তাঁর হলিউডে যাত্রা শুরু?
শুরুটা শিশুশিল্পী থেকে
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর জন্ম ১৯৭৪ সালে। ছোটবেলা থেকেই তিনি অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাতেন। টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনচিত্র ও ছোট চরিত্র দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের সূচনা। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিন্তু তাঁর প্রতিভা ধরা দেয় ১৯৯৩ সালে। সেই সময় তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিনয় করেন রবার্ট ডি নিরোর সঙ্গে। সিনেমার নাম ছিল ‘দিস বয়েজ লাইফ’। একই বছরে মুক্তি পায় ‘হোয়াটস ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ’ সিনেমা। জনি ডেপের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই সিনেমায় তরুণ অভিনেতা ডিক্যাপ্রিওকে দেখা যায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরের ভূমিকায়। এই প্রথম তাঁর অভিনয় সবাইকে চমকে দেয়। এই চলচ্চিত্রের জন্যই তিনি প্রথমবারের মতো অস্কারে মনোনয়ন পান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু-জাকসুর ভিপি-জিএস-এজিএসরা পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন: নাছির
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, “ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) ও জাকসুর (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ) ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পূর্বে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে এসব পদে নির্বাচিত সবাই ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে হলে অবস্থান করেছেন এবং ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।”
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসি) ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক শামছুর ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জিডি প্রত্যাহার দাবি
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারের অপসারণ চায় রাকসু
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি কেন্দ্রে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা নানা অনিয়মে জর্জরিত ছিল। আমরা দেখেছি, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীরা স্বৈরশাসকের আমল থেকেই পরিচয় গোপন করে হলে অবস্থান করেছে এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রকাশ্যভাবে যুক্ত থেকে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। জুলাই আন্দোলনে তাদের কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। অথচ এই বাংলাদেশকে স্বৈরশাসকের হাত থেকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন এবং অসংখ্য কর্মী আজো আহত অবস্থায় সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।”
ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের পিছিয়ে থাকার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে অসংখ্য নেতা-কর্মী বিনা কারণে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। একজন কর্মীও হলে অবস্থান করতে পারেননি, বঞ্চিত হয়েছেন মৌলিক অধিকার থেকে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমাদের আরো ভালো করা উচিত ছিল। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রত্যেক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আরো ভালো ফলাফল অর্জন করবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী