আমি কিছু নিতে আসিনি, দিতে এসেছি : মাসুদুজ্জামান
Published: 11th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কনভেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি বলেন, সবার আগে আমি একজন ব্যবসায়ী। ৫/৬ মাস ধরে সরাসরি রাজনীতির মাঠে এসেছি। নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করতে চাই। সকলের সহযোগীতা নিয়ে নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই। আমরা সকলে মিলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবো।
ব্যবসায়িক কারণে আমাকে বিগত দিনে অনেকের সাথে মিশতে হয়েছে। তাদের সাথে কাজও করেছি। এবার বিএনপি’র জন্য কাজ করতে চাই। সাবেক এমপি আবুল কালাম আমাদের নারায়ণগঞ্জের মুরুব্বী।
শিল্পপতি মো: মাসুদুজ্জামান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ওসমান পরিবারের সাথে কিছু অনুষ্ঠানে ছবি ছিল। আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে কিছুলোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ কারণে আজকে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগীতা চাইছি।
মিডিয়া আমাকে সাপোর্ট দিবেন। আমি অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। মিডিয়াকর্মী ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ হিসেবে গড়তে চাই। কোন সন্ত্রাসী বা গডফাদারের জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পরিচিতি চাইনা। এই পরিচয়টা মুছে ফেলতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, এসপি হারুনের সাথে আমার ছবি দিয়ে যে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে সেটা ছিলো একটি পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের। “হাজিগঞ্জ এলাকায় আমার একটি জায়গা ছিল, যা বহু বছর পুলিশ ব্যবহার করে আসছে।
আমি তখনকার জেলা পুলিশের এসপির সঙ্গে আলোচনা করে সম্মত হই যে পুলিশ সেই জায়গা ব্যবহার করবে, তবে কিছুটা স্থান পরিবর্তন করে। কিন্তু পরবর্তীতে দায়িত্বে আসা এসপি হারুণ সাহেবকে কেউ ভুলভাবে তথ্য দেয়ায় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এমনকি আমাকে অযথা তার অফিসে ডেকে অপেক্ষা করিয়ে অপমানিত করা হয়।”
মাসুদুজ্জামান জানান, ভুল বোঝাবুঝি নিরসনের পর তিনি নিজ উদ্যোগে জায়গায় একটি পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ করে দেন, যা এখনো পুলিশ ব্যবহার করছে। “পরে সেই ফাঁড়ির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমাকে নিজেই নিমন্ত্রণ করা হয়,” বলেন তিনি।
এ সময় তিনি সিটিজেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে আরও বলেন, “আমি ব্যবসায়িক কারণে ব্যাংকের পরিচালক হয়েছি। কোনো রাজনৈতিক সুবিধা বা সম্পৃক্ততার কারণে নয়। আমাকে কখনও কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। অথচ এখন আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যাতে আমাকে বিতর্কিত করা যায়।”
মাসুদুজ্জামান মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, “৫ আগস্টের পরিবর্তন না হলে আমারই সবচেয়ে বড় ক্ষতি হতো। আমার ২০ থেকে ২৫ হাজার কর্মচারীর প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কিছু তৎকালীন রাজনীতিক। সে বিষয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আমাকে প্রমাণও দিয়েছিলেন, যেখানে কিছু ব্যবসায়ী ও ছাত্র সংগঠনের নামও ছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। এখানে আমার কোনো স্বার্থ নেই, কোনো ধান্দা নেই। আমি কিছু নিতে আসিনি, দিতে এসেছি।”
মোঃ মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, নারায়ণগঞ্জ-৫। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় র জন ত ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নাসিকের মশারি বিতরণে মশারি নিতে আসেনি কেউ, অনুষ্ঠান পণ্ড
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মশারি বিতরণ কর্মসূচিতে মশারি নিতে আসেনি কেউ। সেই সাথে কেউ না আসায় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার নগর ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ‘জনসচেতনতা বৃদ্ধি করি, ডেঙ্গু মুক্ত নগর গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) আয়োজনে ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় দরিদ্র নাগরিকদের মাঝে মশারি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সেই সাথে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
সেই সাথে দুপুর আড়াইটার দিকে নাসিকের একটি ওয়ার্ডের সচিব মাসুদ রানা লালসহ কয়েকজন কর্মচারী মাইকে কথা বলছেন। তারা অনুষ্ঠানস্থলে আমন্ত্রিতদের উপস্থিত হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। তখন কয়েকজন নারীকে অনুষ্ঠানস্থলে বসা থাকতে দেখা যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থল থেকে একে একে সকলকে চলে যেতে।
নাসিকের নগর ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন নারী এসেছিলেন মশারী নিতে। তারা জানান, ওয়ার্ড সচিবের অনুরোধে তারা এখানে এসেছিলেন। তাদের এলাকায় ডেঙ্গুর অনেক প্রকোপ। ময়লা ঠিকমতো পরিস্কার না করায় ডেঙ্গু বেড়েছে। মশার ওষুধও নিয়মিত ছিটায় না।
নাসিকের ওয়ার্ড সচিব মাসুদ রানা লাল বলেন, তাকে কয়েকজন দরিদ্র নাগরিককে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তিনি ২ জন নারীকে নিয়ে এসেছিলেন।
পরে তাকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার জন্য বলা হয়। তিনি কিছুক্ষণ সঞ্চালনা করার পরে জানতে পারেন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরে অনুষ্ঠানস্থলে লাগানো ব্যানার ও সাউন্ড সিস্টেম খুলে ফেলা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার নাফিয়া ইসলাম বলেন, কি কারণে অনুষ্ঠান হয়নি সেটা বলতে পারছি না। আমার জানা নেই। প্রথমে শুনলাম হবে এরপর শুনলাম হবে না। আমাকে প্রথমে বলা হয়েছিলো থাকার জন্য। যখন আমি মশারি নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন শুনলাম অনুষ্ঠানটি হবে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ আমার অনুমতি নেয় নি। পরে আবার প্রোগ্রাম কেন বাতিল করলো সেটাও জানা নেই। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নাসিকের প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।