সড়কে সামান্য ঝগড়ার জেরে এক দম্পতি গাড়িতে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ধাওয়া করে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করেছেন। মোটরসাইকেলে থাকা আরেক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে, ২৫ অক্টোবর রাতে। পরে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন, মনোজ কুমার ও তাঁর স্ত্রী আরতি শর্মা।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম দর্শন। তিনিই মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন, পেছনে বসে ছিলেন বন্ধু বরুণ।

পুলিশ বলেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় সড়কে ছোট্ট একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মনোজদের গাড়ির একটি আয়না (সাইড মিরর) ভেঙে যায়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আয়না ভেঙে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ দম্পতি মোটরসাইকেল আরোহীদের প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়া করেন এবং পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেন।

সঙ্গে সঙ্গে দর্শন ও বরুণ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মনোজ ও আরতি তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করতে নেমে রোমহর্ষ সব তথ্য জানতে পারে। পুলিশ জানায়, মনোজ ও আরতি প্রথমবার মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তারপর তাঁরা গাড়ি ঘুরিয়ে এসে ধাওয়া করে আবার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেন।

ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আবার তাঁরা মুখোশ পরে সেখানে আসেন এবং গাড়ির ভাঙা টুকরা কুড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার মামলা হয়েছিল। এখন সেটি হত্যা মামলায় পরিবর্তন করা হয়েছে। মনোজ ও আরতিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ

ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।

সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’

আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’

আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’

২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।

মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো,  যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ