আগামী বছরের এপ্রিলে চীন সফরে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আজ বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প নিজেই এ কথা বলেছেন।

ট্রাম্প বলেন, তাঁর ওই সফরের পর কোনো এক সময় সি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সেটা হতে পারে ওয়াশিংটন ডিসিতে অথবা ফ্লোরিডার পাম বিচে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠককে ‘দারুণ সফল’ বলে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, সি এবং তিনি প্রায় সব বিষয়ে একমত হতে পেরেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের অসাধারণ সাফল্যের জন্য তাঁরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’

সির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন, চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ শুল্কহার ৫৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হয়েছে।

ট্রাম্প-সির এই বৈঠকে আরও কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা তুলে ধরা হলো—

চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

সির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন, চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ শুল্ক হার ৫৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হয়েছে। এই শুল্কহার তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

বুসানে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার সময় এভাবে সি চিন পিংয়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু একটা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও। ৩০ অক্টোবর, ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ট র ম প বল

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের গুলিতে নিহত মুম্বাইয়ে ১৭ শিশুকে জিম্মিকারী

পুলিশের গুলিতে শেষ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের একটি স্টুডিওতে  ১৭ শিশুকে জিম্মি করে রাখা যুবক রোহিত আর্য। বৃহস্পতিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুদের উদ্ধার করতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে এয়ার গান থেকে গুলি চালান রোহিত। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মুম্বাইয়ের পওয়াইয়ের ওই স্টুডিওতে অভিনয়ের ক্লাস হত এবং অডিশন চলত। বৃহস্পতিবার সেখানে অডিশন দিতে এসেছিল প্রায় ১০০ শিশু। বেশির ভাগকেই চলে যেতে বলেন রোহিত। তবে ১৭ জন শিশুকে আটকে রাখেন। তার পর ভিডিওবার্তায় হুমকি দেন, তার দাবি না মানা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। শিশুদের মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী থাকবেন না, গোটা স্টুডিওতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা জিম্মির খবর পায়। এরপরে জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার দাবিদাওয়া শুনতে চাওয়া হয়। তাকে অনুরোধ করা হয়, শিশুদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু অপহরণকারী শিশুদের মুক্ত করতে রাজি হননি। পাল্টা তিনি শিশুদের ক্ষতি করার হুমকি দেন। শেষমেশ পুলিশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে স্টুডিওর ভিতরে ঢুকে পড়ে। পুলিশকে দেখেই এয়ার গান থেকে গুলি চালাতে শুরু করে রোহিত। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তখনই গুলিবিদ্ধ হয় রোহিত।

ঘটনাস্থল থেকে একটি এয়ার গান এবং বেশ কিছু রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে। ওই স্টুডিওতে কাজ করতেন রোহিত। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল তার। রোহিত অভিযোগ তোলেন, স্বচ্ছতা অভিযানের জন্য একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সেই প্রকল্পের জন্য দুই কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি কাজ করার পরেও অর্থ দেওয়া হয়নি। এর জন্য দুই বার অনশনেও বসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসরকর তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাকে দু’দফায় ৭ এবং ৮ লাখ রুপিও দিয়েছিলেন। বাকি অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও তা পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন রোহিত।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ