শিরদাঁড়া শক্ত করে বেঁচে থাকা, সাহস, শক্তি সবকিছুই ছিলেন আমার মা
Published: 30th, October 2025 GMT
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। গত ২৩ অক্টোবর মারা গেছেন তার মা ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সদস্য বেগম তহুরা আলী। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর প্রিয় মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন মেহের আফরোজ শাওন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শাওন তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এ ছবির ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লেখেন, “অক্টোবর ২৩ তারিখ সকাল ৬টা ১১ মিনিটে আম্মু চলে গেছেন। আজ সাত দিন হয়ে গেল। এখনো ঘুম ভাঙলে মনে হয়, হাসপাতালে গেলেই তো আম্মুকে দেখব!”
আরো পড়ুন:
৯ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?
পালকি চড়ে পূজা এলেন, বরণ করলেন চঞ্চল-নিশো
মা তহুরা ছিলেন শাওনের সব শক্তি। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “২০১২ সালের জুলাই মাসের পর থেকে আমার শিরদাঁড়া শক্ত করে বেঁচে থাকা, আমার সাহস, আমার শক্তি সবকিছুই ছিলেন আমার মা। আমার মধ্যে যদি বিন্দু পরিমাণ ভালো কিছু থাকে, সেটা তার আদর্শ, তার শিক্ষা। আর মন্দটুকু পুরোটাই আমার।”
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মেহের আফরোজ শাওন লেখেন, “আমার মায়ের জন্য যারা একবার হলেও শুভকামনা জানিয়েছেন, অসুস্থতার সময় দোয়া করেছেন তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের গভীর কৃতজ্ঞতা। পরম করুণাময় আল্লাহ আমার মাকে অনন্ত শান্তি দান করুক। রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।”
নেটিজেনদের অনেকে মেহের আফরোজ শাওনের এ পোস্টে মন্তব্য করে তার মায়ের জন্য দোয়া করেছেন। নেটিজেন ছাড়াও শোবিজ অঙ্গনের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, “শান্তিতে ঘুমান।” আহসান হাবিব নাসিম লেখেন, “আত্মার শান্তি কামনা করি। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।” তাছাড়া অভিনেত্রী তানভীন সুইটিসহ অনেকে মন্তব্য করেছেন।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তহুরা আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তহুরা আলী প্রথম দফায় সংসদ সদস্য (জামালপুর, শেরপুর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য (ফেনী) ছিলেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র ম কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।
সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’
আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’
আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’
২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।
মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো, যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।