১. বাস্তববাদী হোন

বিয়ের পর সবকিছু একদম নিখুঁত হবে, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন। জীবন সব সময় সিনেমার মতো চলে না। টানাপোড়েন, মতভেদ সবই থাকবে। এই সত্যটা মেনে নিলে মানসিক চাপ অনেক কমে যাবে।

২. ভালোবাসার ভাষা বুঝুন

প্রত্যেকের ভালোবাসা প্রকাশের ধরন আলাদা। কেউ কথায়, কেউ সময় দিয়ে, কেউ আবার ছোট উপহার বা যত্নের মাধ্যমে ভালোবাসা দেখায়। নিজের আর ভবিষ্যতের সঙ্গীর ভালোবাসার ভাষা বুঝে নেওয়া সম্পর্কটাকে আরও গভীর করে।

আরও পড়ুনপ্রেমিক বিয়ে করতে না চাইলে কি তাঁকে ছেড়ে যাবেন?২৮ জুলাই ২০২৫৩.

শ্রদ্ধা রাখুন

ভালো সম্পর্কের ভিত্তি হলো সম্মান। সঙ্গীর মতামত, পেশা, ব্যক্তিত্ব—সবকিছুকে শ্রদ্ধা করুন। তর্ক বা মতভেদ হবেই, কিন্তু অপমান নয়—এই সহজ নিয়মটাই সম্পর্কটাকে সুন্দর রাখে।

৪. ঘনিষ্ঠতা নিয়ে খোলামেলা ভাবুন

শারীরিক ঘনিষ্ঠতা কোনো লজ্জার বিষয় নয়। এটা দুজনকে কাছাকাছি আনে, বোঝাপড়া বাড়ায়। বিয়ের আগে এই বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি ভাবুন, আর ভবিষ্যতের সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন।

৫. ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন

ঘর মানে শুধু চার দেয়াল নয়, মন ভালো রাখার একটা জায়গা। হাসি–আনন্দ, প্রশংসা, ছোটখাটো যত্ন—এসবই ঘরকে ঘর বানায়। ইতিবাচক মনোভাব রাখলে সম্পর্ক হয় সুখের।

আরও পড়ুনবান্ধবীর সাবেকের সঙ্গে প্রেম করেছি, এখন শুনছি নভেম্বরে ওদের বিয়ে২০ আগস্ট ২০২৫৬. নিজেকে হারাবেন না

বিয়ের পর অনেকেই ভাবেন এখন তো বদলাতেই হবে। কিন্তু নিজের শখ, আগ্রহ বা স্বপ্ন হারিয়ে ফেললে আপনি নিজেকেই হারাবেন। নিজের মতো করে বাঁচার জায়গাটা রাখুন, তাতেই সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে।

৭. টাকার ব্যাপারে সচেতন হোন

ভালোবাসা যেমন দরকার, তেমনি অর্থনৈতিক প্রস্তুতিও জরুরি। নিজের সঞ্চয় রাখুন, বাজেট করুন, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন। টাকার চিন্তা কমলে মনও হালকা থাকবে।

৮. ক্ষমা করতে শিখুন

সম্পর্কে ভুল হবেই—আপনারও, সঙ্গীরও। রাগ জমিয়ে রাখলে দূরত্ব বাড়ে। তাই ক্ষমা করা আর নিজের ভুল স্বীকার করা—এই দুটি অভ্যাস সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে।
শেষ কথা

বিয়ে মানেই শুধু ভালোবাসা নয়, বরং একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে চাইলে বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা আর ছোটখাটো যত্ন—এই তিনটিই সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি।
আজ থেকেই যদি এই ৮টি বিষয় একটু ভাবতে শুরু করেন, তাহলে শুধু বিয়ের দিনটাই নয়, বিয়ের পরের জীবনটাও অনেক ফুরফুরে, সুন্দর আর পরিপূর্ণ হবে।

সূত্র: ম্যারেজ ডটকম

আরও পড়ুনবয়স ৩০ হওয়ার আগে বিয়ে-সম্পর্কিত যে ২০টি নিয়ম আপনাকে জানতেই হবে১৩ অক্টোবর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ

ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দাবিকৃত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক হতে পারে ৪৫০ কোটি ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে স্পেনের একটি আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর এমন অবস্থান নিয়েছে রিয়াল।

সুপার লিগের পরিকল্পনা আটকে দিয়ে উয়েফা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করেছে বলে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা উয়েফার আপিল বুধবার মাদ্রিদের প্রাদেশিক আদালত খারিজ করে দেন। একই আদালত স্প্যানিশ লিগ লা লিগা এবং স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের আপিলও খারিজ করেন।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালত সিজেইউ রায় দিয়েছিল, ২০২১ সালে উয়েফা ও ফিফা যে নিয়মগুলো প্রস্তাবিত সুপার লিগ ঠেকাতে ব্যবহার করেছিল, তা ইউরোপীয় আইনের পরিপন্থী। সেই রায় আপিলের পরও বহাল থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই রায়ে ‘আনন্দিত’, কারণ এটি ‘ক্লাবের উল্লেখযোগ্য ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবি করার পথ খুলে দিয়েছে।’

আপিল খারিজের পর বিবৃতি দিয়েছে উয়েফাও। ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ এই রায় ‘২০২১ সালে ঘোষিত এবং ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ‘সুপার লিগ’ প্রকল্পকে বৈধতা দেয় না। একই সঙ্গে এটি উয়েফার ২০২২ সালে গৃহীত ও ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা বর্তমান অনুমোদন-নিয়মকেও খর্ব করে না, যেগুলো এখনো কার্যকর রয়েছে।’

আদালতের রায় বিস্তারিত পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে উয়েফা। আর লা লিগা জানিয়েছে, তারা আদালতের নতুন রায়কে সম্মান জানালেও এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখছে। লিগ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘এই সিদ্ধান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতা কাঠামো অনুমোদন বা সমর্থন করে না, আর ২০২১ সালে ঘোষিত প্রাথমিক প্রকল্প সম্পর্কেও কিছু বলে না, যা পরবর্তীতে আয়োজকেরা পরিবর্তন করেছে।’

২০২১ সালের এপ্রিলে স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের ১২টি ক্লাবের অংশগ্রহণে চালু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপার লিগ প্রকল্প ভেস্তে যায়। প্রথমে ইংলিশ ক্লাবগুলো, পরে ধীরে ধীরে ইতালি ও স্পেনের ক্লাবগুলো সুপার লিগ থেকে সরে আসে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এবং আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট এ নিয়ে উয়েফার সঙ্গে আলোচনা ও আইনি লড়াই চালিয়ে যায়।

মাদ্রিদভিত্তিক দৈনিক এএস জানিয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা এ২২-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই উয়েফার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রস্তুত করছেন। এই পত্রিকার সূত্রমতে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪,৫০০ মিলিয়ন ইউরো,  যা আর্থিক ক্ষতি, সম্ভাব্য লাভ হারানো এবং ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে যোগ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ