অনলাইনে মুক্ত বিশ্বকোষ হিসেবে পরিচিত উইকিপিডিয়ার বিকল্প ‘গ্রোকিপিডিয়া’ চালু করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্সএআই। নতুন অনলাইন বিশ্বকোষ চালুর আগে ইলন মাস্ক জানিয়েছিলেন, গ্রোকিপিডিয়া হবে উইকিপিডিয়ার তুলনায় ‘বেশি উন্নত ও নির্ভরযোগ্য’ জ্ঞানভান্ডার। কিন্তু গ্রোকিপিডিয়া চালুর পরপরই অভিযোগ উঠেছে, উইকিপিডিয়ায় থাকা বিভিন্ন নিবন্ধের তথ্য এআইয়ের মাধ্যমে পরিবর্তন করে গ্রোকিপিডিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে।

গ্রোকিপিডিয়ার ওয়েবসাইটের নকশা প্রায় উইকিপিডিয়ার মতো। শুধু তাই নয়, বড় অনুসন্ধান বক্স, পাতায় পাতায় শিরোনাম, উপশিরোনাম আর সূত্রের তালিকা প্রদর্শন—সবকিছুতেই উইকিপিডিয়াকে অনুকরণ করা হয়েছে। তবে উইকিপিডিয়া মতো গ্রোকিপিডিয়াটিতে কোনো ছবি যুক্ত করা হয়নি। এমনকি ব্যবহারকারীরা চাইলেও কোনো তথ্য সম্পাদনা বা যুক্ত করতে পারবেন না। কিছু পাতায় বড় আকারের ‘এডিট’ বোতাম দেখা গেলেও সেটিতে ক্লিক করলে কেবল আগের সম্পাদনার তালিকাই দেখা যায়। কে সম্পাদনা করেছেন বা কীভাবে করা হয়েছে, সে তথ্যও অনুপস্থিত। প্রতিটি নিবন্ধেই দাবি করা হয়েছে, ‘তথ্যগুলো গ্রোক নিজে যাচাই করেছে।’ কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল প্রায়ই ভুল বা মনগড়া তথ্য তৈরি করে বলে এ তথাকথিত ‘ফ্যাক্টচেক’ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

গ্রোকিপিডিয়ার অনেক নিবন্ধই উইকিপিডিয়ার সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে গেছে। ‘ম্যাকবুক এয়ার’–এর পাতার নিচে লেখা রয়েছে, ‘এই বিষয়বস্তু উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে, যা ক্রিয়েটিভ কমনস অ্যাট্রিবিউশন শেয়ার অ্যালাইক ৪.

০ লাইসেন্সের আওতাভুক্ত।’ একই বার্তা দেখা গেছে ‘প্লেস্টেশন ৫’ ও ‘লিংকন মার্ক ভি আই আই আই’ পাতাতেও। এসব নিবন্ধের ভাষা ও বিন্যাস উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট পাতার সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে গেছে। গ্রোকিপিডিয়ার মূল পাতার নিচে থাকা টিকারে বলা হয়েছে, সাইটটিতে বর্তমানে নিবন্ধের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি। তবে গ্রোকিপিডিয়া এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে। এ জন্য মূল পাতায় সংস্করণ নম্বর ‘ভি জিরো ডট ওয়ান’ উল্লেখ করা রয়েছে।

উইকিপিডিয়া পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র লরেন ডিকিনসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখনো গ্রোকিপিডিয়া কীভাবে কাজ করে, তা বোঝার চেষ্টা করছি। ২০০১ সাল থেকে উইকিপিডিয়া ইন্টারনেটের জ্ঞানের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করছে। এটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একমাত্র অলাভজনক ওয়েবসাইট। গ্রোকিপিডিয়ার শক্তি হলো এর স্বচ্ছ নীতিমালা, স্বেচ্ছাসেবী সম্পাদকদের কঠোর তত্ত্বাবধান এবং ধারাবাহিক উন্নতির সংস্কৃতি। গ্রোকিপিডিয়া একটি বিশ্বকোষ, যার লক্ষ্য পাঠকদের নিরপেক্ষভাবে তথ্য দেওয়া, কোনো নির্দিষ্ট মতো প্রচার করা নয়। এটি মানবসৃষ্ট জ্ঞানের ফল, যা মানুষের সম্মিলিত কৌতূহল ও বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রকল্পগুলোও এই মানবসৃষ্ট জ্ঞানের ওপরই নির্ভর করে। গ্রোকিপিডিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। আর তাই গ্রোকিপিডিয়াও টিকে থাকতে উইকিপিডিয়ার ওপর নির্ভর করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক প ড য় র ন বন ধ ন র ভর

এছাড়াও পড়ুন:

বসুন্ধরার আই ব্লকে হেরিটেজ সুইটসের ২য় শাখা উদ্বোধন

দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি তৈরির নির্ভরযোগ্য প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হেরিটেজ সুইটস। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এর দ্বিতীয় শাখার  উদ্বোধন করা হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে অবস্থিত প্রথম শাখায় গ্রাহকের অসাধারণ সাড়া মেলার পর নতুন এই শাখা উদ্বোধন হলো। এর মাধ্যমে হেরিটেজ সুইটস আরও বৃহত্তর পরিসরে সুস্বাদু ও মানসম্মত মিষ্টি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সানভীর বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এমিল আহমেদ সোবহান। উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমিল আহমেদ সোবহান শুভকামনা জানিয়ে বলেন, হেরিটেজ সুইটস ভোক্তাদের পছন্দকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুস্বাদু, মানসম্মত ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন সরবরাহ করছে। ইতোমধ্যেই ব্র্যান্ডটি ভোক্তাদের আস্থা ও সুনাম অর্জনে সফল হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় হেরিটেজ সুইটসের এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, মিষ্টি হাজার বছর ধরে বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে আপ্যায়নের প্রথম ও অন্যতম খাদ্য উপকরণ। ‘হেরিটেজ সুইটস’ সবসময়ই বাংলার এই ঐতিহ্যেকে আধুনিক উপস্থাপনায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বসুন্ধরায় দ্বিতীয় আউটলেট উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিলাম। আমরা চাই প্রতিটি গ্রাহক যেন পান খাঁটি উপকরণে তৈরি নিরাপদ ও মানসম্মত মিষ্টি।”

আধুনিক সাজসজ্জা ও আরামদায়ক পরিবেশে গড়ে তোলা এই আউটলেট বসুন্ধরার আই ব্লক ও আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য হবে ঐতিহ্য, স্বাদ ও আনন্দের মিলনস্থল।

ঢাকা/রাহাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ