আওয়ামী লীগের ৭০ দশকের নারী এমপি ভারতে মারা গেছেন
Published: 30th, October 2025 GMT
ভারতে মারা গেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নারী এমপি কনিকা বিশ্বাস। ৭০ দশকের আওয়ামী লীগের মহিলা কোটার এই এমপি বুধবার (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।
বয়জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলকাতার সল্টলেকের মনিপাল হাসপাতাল এ তাকে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপি-আ.
ভারতেই থাকব, দেশে ফিরব না: শেখ হাসিনা
কনিকা বিশ্বাস ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠক হিসেবে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন-১১ থেকে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কণিকা বিশ্বাস।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সাখাওয়াতসহ ৬ জন
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৬ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন: সাখাওয়াতের অনুসারী তিন আইনজীবী- খোরশেদ আলম, মো. আল আমিন ও বিল্লাল হোসেন, তার সহকারী (মুহুরি) হিরণ বাদশা ও রাসেল বেপারী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করে।্
আদালতে সাখাওয়াত হোসেন নিজে তাদের পক্ষে শুনানি করেন। তার সঙ্গে এজলাসে শুনানিতে অংশ নেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল বারী ভূঁইয়া, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক নয়ন।
এদিকে আদালতে শুনানির জন্য বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা। তার অভিযোগ, আদালতপাড়ায় অন্তত চারজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে চাননি।
জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশ শুনানিতে অংশ নিয়েছে এবং জামিনের বিরোধীতা করেছে।
জামিন পাওয়ার পর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যারা বাদী হয়েছে, তারাই প্রথমে আইনজীবী সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় তারা মামলা দিতে গেলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি প্রশাসনকে ফোন করে মামলা নিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমি কখনও কাউকে ফোন করিনি বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা সরকারি আইনজীবীদের আমার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, তিনি সবসময় আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন এবং এই মামলায় সত্য প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় চেক জালিয়াতি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার পরেও গত ২৯ অক্টোবর ফতুল্লা থানায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সারাদেশে আলোড়ন তোলা সাত খুন হত্যা মামলায় বাদী পক্ষের হয়ে আদালতে লড়ে আলোচনায় আসেন সাখাওয়াত হোসেন। পরে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র প্রার্থী হন এ বিএনপি নেতা। যদিও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন তিনি।