মেহেদী-সৌম্যর ব্যাটে খুলনার জয়

২৩৭ রানের লক্ষ্য। তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলে ফেলেছিল খুলনা। কিন্তু কাল সেই খুলনা হোঁচট খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে হারাল স্বাগতিক চট্টগ্রামকে। স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান প্রতিরোধ না গড়লে ম্যাচের ফল উল্টো হতে পারত।

খুলনা ১৪৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেদী। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার দলকে জিতিয়ে ফেরেন ৫০ রানে অপরাজিত থেকে—মাত্র ৪৯ বলে। তাঁর নামার পর ২০ রান যোগ হতেই ফেরেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি পাওয়া জিয়াউর রহমান। এরপর নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন মেহেদী। চট্টগ্রামের অফ স্পিনার নাঈম হাসান পেয়েছেন ৫ উইকেট।

ম্যাচসেরা অবশ্য মেহেদী নন, সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসে ৯২ রান করা ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৭১। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ১ উইকেটও। তিন ম্যাচে দুটিতে জয় পাওয়া খুলনাই আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

বরিশালের জয়ের নায়ক তানভীর

এবারই প্রথম বরিশালের অধিনায়ক হয়েছেন তানভীর ইসলাম। দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম জয়ের স্বাদ পেলেন জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার। খুলনায় রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশালের ৫৪ রানের জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক।

ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তানভীর ইসলাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল র প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করলেন নাসিক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেনের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনে নামে সিটি কর্পোরেশনে যানজট নিরসনে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। দুপুরে এমন দাবি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয় কয়েকশ’ কর্মী।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে জড়িতদের খবর দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদেরকে আন্দোলন স্থগিত রেখে কাজে যোগ দিতে বলেন।  পরে আন্দোলনকারীরা সকলেই সিটি কর্পোরেশন ভবনে এসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। 

এসময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের পাওয়া এ ভালবাসার কথা আমি কখনোই ভুলব না। এটা আমার জীবনের এক অন্যতম প্রাপ্তি। কিন্তু আমরা সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। চাকরি জীবনে বদলি একটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। এটাকে মেনে নিতেই হবে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তোমরা সকলেই কাজে ফিরে যাও। এটাই হবে আমার প্রতি তোমাদের দেখানো আসল ভালবাসা। 

এসময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সম্রাট হোসেন বলেন, উনি (সিইও) একজন মানবিক কর্মকর্তা। আমাদের মাথার উপরে ছায়ার মতো রয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনে যখন হামলা হয় তখন তিনি আমাদের নিরাপদে আগলে রেখেছেন। আমরা চাই সরকার তা বদলীর আদেশ পুনর্বিবেচনা করুক।

আন্দোলনের অন্যতম আয়শা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাতে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিলাম। কিন্তু  স্যারের (সিইও) অনুরোধে স্থগিত করে চলে এসেছি। 

প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্পকলা একাডেমীর সচিব হিসেবে বদলী হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ