চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ৯৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার
Published: 26th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে ৯৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দাররা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের BG-152 ফ্লাইট থেকে এই মোবাইল ভর্তি ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মোবাইল ফোনগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের এন এস আই এবং শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা শারজাহ থেকে আসা বিমানের অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় বিমানের ভিতর পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ট্রলিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যাগটি খুলে সেখানে ৯৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।