দেশে বেসরকারি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগের নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে কোন অনিবাসী, বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ বিনিয়োগ করতে পারবেন। ১০ লাখ টাকার বেশি শেয়ারে বিনিয়োগ করলে অনুমোদিত ডিলারের পাঠানো প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাচাই করে নির্দেশনা দেবে। তবে সব ধরনের বিনিয়োগই ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে।  
 
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের বেসরকারি বা তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিতে শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে। অনিবাসী, বিদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ লাখ টাকার বেশি হলে কোম্পানির শেয়ার ইস্যুর ১৪ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। এসব তথ্যের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারের নাম-ঠিকানা, শেয়ারের সংখ্যা, ইস্যুর তারিখ, প্রতি শেয়ারের অভিহিত মূল্য, শেয়ার প্রিমিয়াম, অনলাইনে ব্যবহৃত রিপোর্টিং আইডি, ইস্যুকৃত শেয়ারের মোট মূল্যমান, বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগের পরিমান, বিনিয়োগ দেশে আনার তারিখ, বিনিযোগকারীর দেশের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে। এছাড়া সুইফটের মাধ্যমে লেনদনের জন্য উপযুক্ত হিসাব নম্বর, খুদে বার্তার মাধ্যম হিসাবে ইমেইল, স্বাক্ষর ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।

এছাড়া শেয়ার ইস্যুর আগেই বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। শেয়ারহোল্ডার এবং বিনিয়োগের উৎস ও দেশ উল্লেখ করতে হবে। দেশের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের পাঠানো প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে বিনিয়োগের নির্দেশনা দেবে। আমদানিকৃত মূলধনী যন্ত্রপাতির বিপরীতে ইস্যু করা শেয়ারের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। বিনিয়োগকারীর অনুকূলে কোনো কোম্পানির শেয়ার ইস্যু করার আগে বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে হবে।

জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে দুই ধরনের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ করেন। এর মধ্যে একটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে, যা ইকুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে পরিচিত। অন্যটি ডেবট সিকিউরিটিজে। ইকুইটি সিকিউরিটিজ বলতে সেসব সিকিউরিটিজকে বোঝায়, যারা বছরের শেষে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়। তালিকাভুক্ত লভ্যাংশ নির্ভর বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইকুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে বেশি পরিচিত। আর ডেবট সিকিউরিটিজ বলতে সেসব সিকিউরিটিজকে বোঝায়, যারা বিনিয়োগের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিয়ে থাকে। এ ধরনের সিকিউরিটিজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিল ও বন্ড।

ঢাকা/এনএফ/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

মে মাসে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

চলতি মাসে ধেয়ে আসতে পারে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে এ মাসে শিলা ও বজ্রবৃষ্টিসহ তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসানের সই করা একমাসের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।

আরো পড়ুন:

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ পরিণত, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত

উপকূল রক্ষা করছে বনাঞ্চল, কিন্তু বন বাঁচাতে নেই উদ্যোগ

তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, “মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।”

এদিকে, মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হওয়া ও শিলাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের সই করা এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জনসাধারণকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরে অবস্থান করা, অপ্রয়োজনে যাত্রা এড়িয়ে চলা এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা। একইসঙ্গে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া বা দেয়ালে হেলান দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখার এবং জলাশয় থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী যে কোনো বস্তু থেকে দূরে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সতর্কবার্তায়। শিলাবৃষ্টির সময় সবাইকে ঘরে থাকারও আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ