বাজেটবান্ধব প্রতিশ্রুতির নতুন ব্র্যান্ড
Published: 28th, January 2025 GMT
চারটি স্মার্টফোনের মডেল উন্মোচন করেছে দেশে আসা নতুন প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইউমিডিজি। বাজেটবান্ধব ফিচারে সবকটি মডেল মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলে ব্র্যান্ড সূত্রে জানানো হয়।
জানা গেছে, ফাইভজি সমর্থন করবে ‘জি-নাইন’ মডেল। ফাইভজি ঘরানার মডেলে আছে ১২ জিবি র্যাম (৬ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম) ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ অ্যান্ড্রয়েড ১৪ সংস্করণ, স্লিম ডিজাইন (৭.
অন্য তিনটি মডেল যথাক্রমে জি-নাইন সিরিজের সি, টি এবং জি-নাইন-এ মডেল।
ইউমিডিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝোউ বলেন, আমরা এমন স্মার্টফোন ডিজাইন করেছি, যা মধ্যম বাজেটের গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই আরও কয়েকটি মডেল উন্মোচনের পরিকল্পনা আছে। সম্ভাব্য দুটি মডেল হলো যথাক্রমে ১০০ নোট ও নোট এআই। নতুন আসা চারটি স্মার্টফোনের দাম মডেলভেদে ৯ থেকে ১৪ হাজার টাকার ভেতরে। ইউমিডিজি বাংলাদেশের সেলস অ্যান্ড অপারেশন হেড মাসুদুর রহমান বলেন, আগামী পাঁচ বছর হবে বাংলাদেশ হ্যান্ডসেট বাজারের আলোচিত সময়। ব্র্যান্ডের গ্রাহককে পরিষেবা দিতে সারাদেশে ১২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১০টি কালেকশন পয়েন্ট থাকবে।
সময়ের বাজেটবান্ধব চাহিদা পূরণে ছয়টি নতুন মডেল বাংলাদেশের বাজারে অবমুক্তের ঘোষণা দিয়েছে ব্র্যান্ডটি। সূচনা যাত্রায় চারটি মডেলের দাম ঘোষণা করা হয়। সে অর্থে বাংলাদেশের বাজারে যুক্ত হলো আরেকটি চীনা প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। বাজারে নতুন ব্র্যান্ড আসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে, তাতে ভোক্তারাই বেশি উপকৃত হয়ে থাকেন বলে বাজার গবেষকরা মন্তব্য করেছেন। নতুন আসা ব্র্যান্ডটি প্রতিযোগিতার বাজারে বাজেটবান্ধব স্মার্টফোন কতটা গ্রাহকপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল