ফতুল্লায় বন্ধকৃত যুমনা স্টীল মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
Published: 11th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বন্ধকৃত যমুনা স্টিল মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের ডাকাত দল নিরাপত্তারক্ষী সহ মিলের ভিতরে থাকা ৭ জনকে হাত-পা বেধে লুট করে নিয়ে গেছে ৫০-৬০ লাখ টাকার মালামাল।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লা পঞ্চবটী পাঁচ তলা কলোনী সংলগ্ন বন্ধকৃত যমুনা স্টিল মিলে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
জানা যায়, প্রায় ১০-১২ বছর পূর্বে যমুনা স্টিল মিলটি বন্ধ হয়ে যায়।পরবর্তীতে আয়রন সুপাুর মার্কেটের ৮-১০ জন ব্যবসায়ী নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিত্যক্ত যমুনা স্টিল মিলটি ভাড়া নিয়ে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। গোডাউনে তারা লোহা, স্ক্র্যাপ, তামা, ক্যাবল সহ লৌহজাতীয় দ্রবাদি সংরক্ষন করে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে ডাকাত দল ভিতরে প্রবেশ করে রাত ৩ টা পর্যন্ত অবস্থান করে নিরাপত্তারক্ষী সহ ভিতরে থাকা ৭ জন কে বেধে রেখে দুটি ট্রাকে করে ৫০- ৬০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী হাজী মোফাজ্জল হোসেন জানায়, মিলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর আয়রন মার্কেটের তিনি সহ ৮ জন ব্যবসায়ী সেটি ভাড়া নেন। সেখানে তারা টেন্ডারে ক্রয়কৃত গর্দা, মোটা ক্যাবেল, তামা, লোাহা, স্ক্র্যাপ সহ লৌহ জাতীয় মালামালের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে ডাকাতদলের সদস্যরা ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমে আমির নামের এক নিরাপত্তারক্ষী পরে এক এক করে আরো দুই নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ীর চালক সহ সাতজনকে হাত মুখ বেধে একটি রুমে আটকে রেখে দুটি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। লুটে নেওয়া মালামাল সহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গল টেস্টে খেলা হচ্ছে না মিরাজের!
গল টেস্ট দিয়ে নতুন টেস্ট চক্রে ভালো শুরু করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। তবে শুরুতেই পূর্ণ শক্তির একাদশ নিয়ে লঙ্কা লড়াইয়ে নাও নামতে পারে বাংলাদেশ। কারণ প্রথম টেস্টে দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য মেহেদী মিরাজকে না পাওয়ার শঙ্কাই জোরারো।
দলের একমাত্র অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ফ্লুতে আক্রান্ত। জ্বর-ব্যথা না থাকলেও ভাইরাসের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজ না চাইলে টিম ম্যানেজমেন্ট জোরাজুরি করবে না হয়তো। যদিও তার খেলা না খেলার ওপর একাদশে প্রভাব থাকবে।
শান্তকে অনিশ্চয়তার কথাই বলতে হয়েছে মিরাজকে নিয়ে, ‘এখনও মিরাজের শরীরটা খারাপ আছে, তবে উন্নতি করছে। ওর খেলা না-খেলার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। ওই জায়গাটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে আমরা একটা ভালো কম্বিনেশন নিয়ে নামতে পারব।’
শেষ পর্যন্ত মিরাজ খেলতে না পারলে ব্যাটিং লাইনআপ ছোট হবে। এ ক্ষেত্রে ইনিংস ওপেন করতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস ও জাকের আলী খেলবেন মূল ব্যাটার হিসেবে। বোলিং লাইনআপটাও সাজাতে হবে স্পিন বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে। কারণ গল স্পিন স্বর্গ।
বিষয়টি মাথায় রেখে বাঁহাতি তাইজুল ইসলামের সঙ্গে অফ স্পিনার নাঈম হাসান খেলতে পারেন। তিন স্পিনার খেলালে হাসান মুরাদের কপাল খুলবে। তিন স্পিনার হলে পেস বিভাগে হাসান মাহমুদ থাকবেন একা। দুই স্পিনার হলে নাহিদ রানা সুযোগ পেতে পারেন।