স্বাস্থ্যকর নানা সুবিধার কারণে রোজমেরি তেলের সুনাম বহু বছর ধরেই। তবে সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর পাড়ের সুগন্ধি গুল্মটি আবার জনপ্রিয়তা পেয়েছে প্রাকৃতিকভাবে চুল বৃদ্ধির করার ‘ওষুধ’ হিসেবে। এ কারণে যাঁরা ‘বিউটি ইন্ডাস্ট্রি’তে কাজ করছেন, তাঁরা তো বটেই, সৌন্দর্যসচেতন মানুষের সাজঘরে জায়গা করে নিচ্ছে এই ভেষজ তেল।

রোজমেরিগাছ থেকে নিষ্কাশন করা এই তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী যৌগ ও প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিতে ভরপুর। এসব উপাদান ফলিকলের উদ্দীপনা বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

যাঁরা চুল নিয়ে নানা সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চুলের যত্নে নিয়মিত রুটিনের মধ্যেই যোগ করতে পারেন রোজমেরি তেল। এটা হতে পারে আপনার চুল গজানো থেকে শুরু করে চুল পড়া, ফাটা রোধসহ স্বাস্থ্যকর ঝলমলে চুল পাওয়ার ভালো সমাধান।

চুল গজাতে কেন রোজমেরি তেল ব্যবহার করবেন

টাক মাথায় চুল গজাতে রোজমেরি তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানার আগে জেনে নেওয়া ভালো চুল গজাতে কেন রোজমেরি তেল ব্যবহার করবেন।

১.

মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: রোজমেরি তেল মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন, ফলিকলে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ বাড়ায়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে চুলকে করে তোলে স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী।

রোজমেরিগাছ থেকে নিষ্কাশন করা এই তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী যৌগ ও প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টিতে ভরপুর

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে সুনামগঞ্জে ২, নেত্রকোনায় ১ কৃষকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিরাই উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রিংকু দাস এবং দুপুরে জামালগঞ্জ উপজেলায় মানিক মিয়া নামের আরেক কৃষক মারা যান। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বাড়ির পাশের খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গোলাপ মিয়া (৩০) নামের আরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিরাই উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকেলে গ্রামের পাশের উদগল হাওরে ধান কাটছিলেন কৃষকেরা। ধান কাটায় অন্যদের সঙ্গে রিংকু দাসও (২৪) ছিলেন। তখন বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে আহত হন রিংকু দাস। স্থানীয় কৃষকেরা তাঁকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রিংকু দাস উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বজ্রপাতে রিংকু দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বজ্রপাতে মানিক মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মানিক মিয়া জামালগঞ্জ উপজলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুনবজ্রপাতে ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার পাকনার হাওরে সকালে ধান কাটতে যান মানিক মিয়া। দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছিল। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে হাওরে থাকা অন্য কৃষকেরা তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে খেতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গোলাপ মিয়া ওই গ্রামের পাইক মিয়ার ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির সামনের খেতে বোরো ধান কাটছিলেন গোলাপ মিয়া। এ সময় সঙ্গে তাঁর বাবা, ভাইসহ পরিবারের অন্য লোকজনও ছিলেন। দুপুর দুইটার দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়ার পাশেই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে জমির একপাশে গিয়ে পড়েন গোলাপ। সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসক গোলাপকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তাই তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবজ্রপাত কমলেও বছরে মৃত্যু দেড় শ মানুষের০৫ জুন ২০২১

সম্পর্কিত নিবন্ধ