বাংলা চলচ্চিত্রে গণমানুষের নায়ক মান্নার সাক্ষাৎকারের একটি অংশ এখনো নেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। এছাড়া অভিনয়শিল্পীদের অনেকেই মান্নার উক্তি বিভিন্ন সময় তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারে ফিল্ম জীবনে বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা বলে গেছেন। তার মতে, ‘চলচ্চিত্রাঙ্গনে কেউ কারও বন্ধু না। এখানে প্রদর্শিত আন্তরিকতা বা হাসি-আনন্দ সব মেকি।’

অপি করিমের উপস্থাপনায় সেই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে চলচ্চিত্রাঙ্গনকে স্বার্থপর দাবি করে মান্না বলেন, ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বার্থপর জায়গা বলে যদি কিছু থাকে তবে তা চলচ্চিত্রাঙ্গন। এখানে আমরা সবাই কমার্শিয়াল। হৃদয়, প্রেম, ভালোবাসা বন্ধুত্ব সব মেকি এখানে।’

এরপর বন্ধুত্ব নিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘ফিল্মে বন্ধুত্বের কোনো মূল্য নেই। আমার কোনো বন্ধু নেই এখানে। চলচ্চিত্রের কেউ যদি বুকে হাত দিয়ে বলেন, আমরা সবাই এক পরিবার তবে সেটা হবে সবচেয়ে বড় মিথ্যা। কারণ এখানে সবাই স্বার্থ নিয়ে চলেন।’

তবে এই স্বার্থপরতার ভীড়েও একজন বন্ধু খুঁজে পেয়েছেন উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘শোবিজে আমার একজন বন্ধু আছে। তিনি ফাইট ডিরেক্টর মোসলেম ভাই। আমার সুখে, দুঃখে, হাসি, আনন্দে পাশে থাকেন। আমাদের মধ্যে স্বার্থ বলে কিছু নেই। সেকারণেই এই মানুষটা আমার পরিবারের একজন সদস্য।’

মান্নাকে হারানোর ১৮ বছর হয়ে গেল। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান মান্না।

১৯৮৪ সালে তিনি এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে আসেন। নায়করাজ রাজ্জাক মান্নাকে প্রথম চলচ্চিত্রে সুযোগ করে দেন। ‘তওবা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার।

তার অভিনীত প্রথম মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘পাগলি’। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে কাজ করেন মান্না। ছবিটি ব্যবসা সফল হওয়াতে মান্নাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

এরপর কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ ছবির মাধ্যমে তার একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। একে একে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’, ছবিগুলো মান্নার অবস্থান শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

১৯৯৯ সালে ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপারহিট ছবিতে কাজ করেন মান্না। অভিনয়, অ্যাকশন, সংলাপ বলার ধরন সবকিছু মিলেই একটা স্বতন্ত্র স্টাইল দাঁড় করেছিলেন তিনি।

প্রযোজক হিসেবেও মান্না বেশ সফল ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো ছবি প্রযোজনা করেছেন প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল। ছবিগুলোর মধ্যে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’ ও ‘পিতা-মাতার আমানত’ অন্যতম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ঙ বন ধ ত ব পর চ ল ত

এছাড়াও পড়ুন:

নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।

২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।

গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪০ জন