জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের চিঠি প্রত্যাহার এবং তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে হবে। অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ চলাকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তাঁদের দাবি পূরণের জন্য একাধিকবার সময় নিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থী লামিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে খেলতে দেওয়া যায় না। আমরা এখানে ভর্তি হয়েছি স্বপ্ন নিয়ে, এখন যদি এই প্রোগ্রাম বন্ধ হয়, তাহলে আমাদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।’

শিক্ষার্থী আফিউল হাসান বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক। কর্তৃপক্ষ একের পর এক সময় নিচ্ছে, কিন্তু কোনো সমাধান দিচ্ছে না। আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই, আন্দোলন করতে নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসটি অনেক ছোট। সেখানে অন ক্যাম্পাস কোনো প্রোগ্রাম চালানো কঠিন। বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ক য ম প স

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ