জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 19th, February 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রাম’ বন্ধের চিঠি প্রত্যাহার এবং তৃতীয় ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম চালু করতে হবে। অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ চলাকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তাঁদের দাবি পূরণের জন্য একাধিকবার সময় নিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থী লামিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে খেলতে দেওয়া যায় না। আমরা এখানে ভর্তি হয়েছি স্বপ্ন নিয়ে, এখন যদি এই প্রোগ্রাম বন্ধ হয়, তাহলে আমাদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।’
শিক্ষার্থী আফিউল হাসান বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক। কর্তৃপক্ষ একের পর এক সময় নিচ্ছে, কিন্তু কোনো সমাধান দিচ্ছে না। আমরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই, আন্দোলন করতে নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসটি অনেক ছোট। সেখানে অন ক্যাম্পাস কোনো প্রোগ্রাম চালানো কঠিন। বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ক য ম প স
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’