Samakal:
2025-04-30@20:33:53 GMT

আমাজনের শহরে জরুরি অবস্থা জারি

Published: 22nd, February 2025 GMT

আমাজনের শহরে জরুরি অবস্থা জারি

ব্রাজিলের আমাজনের একটি শহরে কয়েকটি সিঙ্কহোল বা বৃহদাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে কয়েকশ বাড়ি ধ্বসে পড়তে পারে— এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আমাজনের মারানহোর বুরিতিকুপু নামে ওই শহরটির বেশ কয়েকটি ভবন ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে।  খবর গার্ডিয়ানের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরটিতে মোট ৫৫ হাজার মানুষের বসবাস। এরমধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, ১ হাজার ২০০ মানুষের বাড়ি এই বিশাল গর্তগুলোতে পড়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

চলতি মাসের শুরুতে ওই এলাকার স্থানীয় সরকার একটি ডিক্রি জারি করে। তাতে বলা হয়, গত কয়েক মাসের মধ্যে এটির পরিধি বিস্তৃত হয়েছে। যা এখন আবাসিক ভবনের দিকে এগোচ্ছে।

বুরিতিকুপু নামে এই শহরটিতে গত ৩০ বছর ধরেই এমন সিঙ্কহোল মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এগুলো আবাসিক ভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে এবং গর্তগুলো বেশ বড়ও হয়ে গেছে। মূলত বৃষ্টির কারণে মাটি ক্ষয় হওয়া, বন উজাড় করে অপরিকল্পিত বাড়িঘর তৈরির কারণে এটির তীব্রতা বেড়েছে।

ভূগোলবিদ ও মারানহাউ ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্সিলিনো ফারিয়াস বলেছেন, সম্প্রতি যে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটছে। সেটির কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি সৃষ্টি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য ম জন

এছাড়াও পড়ুন:

সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ৪৫% রাজনৈতিক

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ভুল তথ্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ সময়ে যাচাই করা ভুল তথ্যের ৪৫ শতাংশই ছিল রাজনৈতিক। গতকাল বুধবার তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত ভুল তথ্য ছিল ১ শতাংশ। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে তা বেড়ে ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সংখ্যার হিসাবে গত প্রান্তিকে এ ধরনের ভুল তথ্য ছিল মাত্র ১১টি। সেটি এ বছরের প্রথম তিন মাসে সাত গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭টিতে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ-সংশ্লিষ্ট আটটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পেয়েছে ডিসমিসল্যাব। 

সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ হাজার ২৩৬টি তথ্য যাচাইয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র ভুল তথ্য পাওয়া গেছে ৮৬৭টি, যা আগের প্রান্তিকে রেকর্ড করা ৮১৬টির তুলনায় কিছুটা বেশি। ভুল তথ্যের প্রায় অর্ধেকই (৪৫ শতাংশ) রাজনীতি সম্পর্কিত ছিল। এর পর ছিল ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্য (১৩ শতাংশ), যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় সামান্য কম।

অপরাধ-সম্পর্কিত ভুল তথ্য বেড়েছে 

বছরের প্রথম তিন মাসে প্রচারিত খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও ডাকাতি-সংক্রান্ত খবর ছিল ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনা ছিল ভারতের, যা বাংলাদেশের বলে ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে একটি ইউটিউব চ্যানেলে হোটেল থেকে লাফিয়ে পড়া এক ভিডিও প্রচার করে বাংলাদেশের বলে দাবি করা হয়, কিন্তু সেটি ছিল মূলত ইন্দোনেশিয়ার।

 রাজনৈতিক ভুল তথ্য 

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যাচাই করা ভুল তথ্যের ৪৫ শতাংশই রাজনৈতিক। আগের বছরও রাজনীতি-সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ (৩৪.৮ শতাংশ) ও অন্তর্বর্তী সরকারকে (২১.৮ শতাংশ) নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করে প্রচারিত ভুল তথ্যগুলোর অধিকাংশই (৬৮ শতাংশ) ছিল ইতিবাচক। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও সমন্বয়কদের নিয়ে ছড়ানো অধিকাংশ ভুল তথ্য ছিল নেতিবাচক।

 ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্য

ধর্ম-সম্পর্কিত ভুল তথ্যের সংখ্যা সর্বশেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ধর্ম-সংক্রান্ত ভুল তথ্যের পরিমাণ ছিল মোট যাচাইকৃত ভুল তথ্যের ১৮ শতাংশ, যা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে। তবে এর ধরন ছিল একই রকমের। যেমন, পুরোনো বা সম্পাদিত ছবি-ভিডিও সাম্প্রতিক বলে প্রচার করা। 

বেড়েছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্য 

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্যের পরিমাণ বাড়তে দেখা গেছে। ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুল তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭টি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন। সেখানে এ বছরের প্রথম তিন মাসে এই সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪টিতে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব ভুল তথ্যের ২৪ শতাংশ ছিল রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ