সায়মা ওয়াজেদের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 4th, March 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের (পুতুল) নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুদক সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য আদালতের কাছে তুলে ধরে সেগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করে। দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সায়মা ওয়াজেদ তার মায়ের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের (জব্দ) নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেড়েছে
ভারতে রপ্তানির খবরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার মাছবাজারে গতকাল বুধবার থেকে ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম গড়ে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে।
দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের পাতে জুটছে না ইলিশ। এ নিয়ে হতাশ তাঁরা। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কম। এতে হতাশ বিক্রেতারাও।
গতকাল ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, মুন্সিরহাট ও বরদিয়া আড়ৎ এবং মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ, সুজাতপুর ও ছেংগারচর মাছবাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজারে দেখা যায়, সেখানে মোটামুটি হারে ইলিশের আমদানি হয়েছে। ইলিশ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা, তবে বেচাকেনা কম। দু-একজন ক্রেতা দরদাম করেই ফিরে যাচ্ছেন। কেউ ইলিশের কাছে এসে উঁকিঝুঁকি মেরেই সারা। ইলিশের দাম শুনে হতাশ মনে ফিরছেন অনেকেই। সচ্ছল কিছু ক্রেতা কিছু ইলিশ কিনলেও নিম্ন আয়ের অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না, শুধু দেখছেন।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক অশোক কুমার রায়। মাছ কিনতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘ইলিশ কিনতে বাজারে আসছি। দেখি, দাম আগের চেয়ে বেশি। নিম্ন আয়ের ক্রেতার পক্ষে এত দামে ইলিশ কিনা সম্ভব নয়। কী করব, ইলিশের চেহারা দেখেই চইলা আসি।’
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর মাছবাজারের ইলিশ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশের দাম কিছুটা কমেছিল। ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর জানাজানির পর ইলিশের দাম গতকাল থেকে বেড়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানি হওয়ায় খবরে পাইকারি বিক্রেতারা বাজার থেকে বেশি করে ইলিশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এতে বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দেয়। গড়ে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অধিকাংশ ক্রেতাই ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছেন। বেচাবিক্রি কম। এতে তিনিসহ অন্যান্য বিক্রেতারা হতাশ।
বিক্রেতারা বলেন, কয়েক দিন আগে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজিতে দর ছিল ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। গতকাল থেকে সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫০০। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। সেগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২ হাজার টাকা। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হতো ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই। ভরা মৌসুমে মেঘনা-পদ্মায় এখন মোটামুটি হারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এখন দাম কমার কথা, বাড়ার কথা নয়।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। হঠাৎ ইলিশের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।