পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সংকটের দ্রুত সমাধান চেয়েছে বাজার অংশীজনেরা। তাঁরা বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় গত কয়েক দিনে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। এতে দেশ-বিদেশে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয়ে আজ রোববার সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনারের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি আলোচনার পর এই আহ্বান জানান অংশীজনেরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ও পরিচালক মিনহাজ মান্নান। এর আগে বিএসইসির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএসইসির কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএসই, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন বা ডিবিএ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিসিবিএলসহ শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা। বেলা ১১টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।

বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনেরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে ও সংহতি জানাতে এসেছিলেন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ও স্বার্থে তাঁরা আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজে ফিরে এসেছেন। আমরা কর্মীদের সবাইকে কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁর কোনো আলোচনা হয়নি।

বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ঘটনায় পুঁজিবাজারের মতো সংবেদনশীল একটি বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটি কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায়, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বিএসইসির যে সুনাম ও মর্যাদা, সেটা রক্ষার দায়িত্ব বাজার–সংশ্লিষ্ট সবার। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের সিদ্ধান্তে যদি ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে আইন ও নিয়ম মেনে তাদের কমিশন বা সরকারের কাছে আবেদন সুযোগ রয়েছে। আইনের আশ্রয় নেওয়ারও বিধান আছে। কিন্তু একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরির মাধ্যমে যেভাবে দাবি আদায়ের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে, সেটি কাম্য নয়। পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বিগত দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিশদ তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান কমিশনের তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।’

ডিএসইর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিএসইসিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। তবে সংস্থাটিতে অনেকে আছেন, যাঁরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করেন। এসব সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা যাতে আতঙ্কিত না হয়ে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন, সে জন্য পদক্ষেপ নিতে কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ সময় ডিএসইর চেয়ারম্যান আরও জানান, বিএসইসির বর্তমান সংকটের সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে বাজারে কোনো ধরনের অঘটন ঘটানোর সুযোগ না পান, সে জন্য ডিএসইর বাজার সার্ভেইল্যান্স জোরদার করা হয়েছে। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে ডিএসই বাজার তদারকিতে যুক্ত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বাজারের ওপর আস্থা না হারানোরও অনুরোধ জানান ডিএসই চেয়ারম্যান।

বৈঠক শেষে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ করেছি, যত দ্রুত সম্ভব বিএসইসিতে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার। সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ যেন অবিচারের মুখোমুখি না হন এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে না পড়েন, সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছি।’ বিএসইসির গত কয়েক দিনের ঘটনায় বাজারে কোনো নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিনহাজ মান্নান বলেন, ‘যা বার্তা যাওয়ার এরই মধ্যে চলে গেছে। যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে আহ্বান জানাতেই আমরা বৈঠক করেছি। বিনিয়োগকারীদেরও উদ্বেগের বিষয়টিও আমরা বৈঠকে তুলে ধরেছি।’

এদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আজ সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছিল একধরনের অস্বস্তি। সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এই অস্বস্তি বিরাজ করছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়।

গত বুধবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের বাধ্যতামূলক অবসরকে কেন্দ্র করে বিএসইসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এই দাবি আদায়ে বিএসইসির কার্যালয়ের বিদ্যুৎ–সংযোগ, সিসিটিভি–সংযোগ বিচ্ছিন্ন, মূল ভবনের ফটক বন্ধ করে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর সেনাসদস্যরাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে ‘অবরুদ্ধ’ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এই উদ্ধার অভিযানকালে বিএসইসির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন। এর প্রতিবাদে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কর্মবিরতির কারণে বৃহস্পতিবার বিএসইসিতে অচলাবস্থা ছিল। এই অচলাবস্থার মধ্যে ওই দিন বেলা তিনটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কার্যালয়ে আসেন চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা।

এদিকে বুধবারের ঘটনায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। বিএসইসির চেয়ারম্যানের গানম্যান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার এ মামলা করেন। এই মামলার পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি বাদ দিয়ে স্বাভাবিক কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে ও বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ভাবমূর্তি যাতে বিনষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কমিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দপ্তরের কাজে নিয়মিতভাবে যোগদানের উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর মকর ত ব এসইস র ক ড এসইর অ শ জন ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে করসুবিধা দেবে সরকার

শেয়ারবাজারের সূচক খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। আশার ভিত্তি হিসেবে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধসহ অর্থনীতিতে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটছে। এসবের প্রভাব শিগগিরই শেয়ারবাজারে পড়বে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আজ বুধবার শেয়ারবাজার নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিয়োজিত এই বিশেষ সহকারী বলেন, আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা থাকবে। ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনতে করছাড় সুবিধা দেওয়া হবে। তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে করহারের ব্যবধান বাড়ানো হবে। তবে করহারের ব্যবধান কত বাড়ানো হবে, তা এখনই বলছেন না জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিএসইসির পক্ষ থেকে এ ব্যবধান বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বাজারে আমরা এই মুহূর্তে লোক বদল করে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করতে চাই না। সমস্যার সমাধান না করে শুধু লোক বদল করে বাজারের উন্নয়ন হবে না। এ কারণে আমরা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পথে রয়েছি। চাইলেও আমরা রাতারাতি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, সব সিদ্ধান্তের ভালো-খারাপ দিক থাকে। এ জন্য আমরা সবকিছু যাচাই-বাছাই করে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন যাতে ব্যাংকের বদলে পুঁজিবাজার থেকে হয়, সে জন্য নতুন বিধান করা যায় কি না, তা–ও বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বহুজাতিক যেসব কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার রয়েছে, সেগুলোকে এবং সরকারি-বেসরকারি কিছু ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনতে চাই।’

এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিএসইসির কমিশনের সঙ্গে বাজার উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা করেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। ওই বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকসহ তিন কমিশনার ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সূচকের নিয়মিত পতনের মূল কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বিএসইসি। সেই সঙ্গে যেসব শেয়ারের অস্বাভাবিক বিক্রির চাপ দেখা যাচ্ছে, সেগুলো বাজার তদারকির মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টক শো ও বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি বিআইসিএম ও বিএএসএম পুঁজিবাজারবিষয়ক শিক্ষণীয় ভিডিও তৈরি করবে। ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে পুঁজিবাজার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা হবে।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানি, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করা এবং টেক্সটাইল ও ওষুধ খাতের দেশি লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে।

যেসব কোম্পানি এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, তাদের তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করার জন্য আকর্ষণীয় করছাড় দেওয়ার কথাও জানান আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ব্যাংক খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ সীমিত রাখা এবং পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের আর্থিক খাতের অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হবে। সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য করছাড়ের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে। এর মধ্যে লভ্যাংশ আয়ের ওপর করছাড় এবং পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের ওপর বিশেষ করছাড়ের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্যের ৪৫% রাজনৈতিক
  • শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে করসুবিধা দেবে সরকার
  • নির্বাচনে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করাসহ ১২ প্রস্তাব
  • ‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
  • চার মাস পর লেনদেন ৩শ কোটির নিচে
  • বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার আহ্বান 
  • পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি
  • ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
  • পুলিশ সপ্তাহ শুরু মঙ্গলবার, নির্বাচনী নির্দেশনা পাবে আইনশৃঙ্খলা ব
  • অস্বাভাবিক বাড়ছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার দর, তদন্তের নির্দেশ