কয়েক বছর ধরেই ঈদের সিনেমায় নিয়মিত নায়িকা শবনম বুবলী। এবার ঈদেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। আসছে ঈদে এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ছবিটির প্রচার প্রচারণাও শুরু হয়েছে গেছে। সিনেমার প্রচারণা নিয়ে আগে কথা না বললেও আজ হঠাৎ লুঙ্গি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজির হলেন এই নায়িকা।

বললেন, ‘হেই গাইজ, লুঙ্গি পরে ‘জংলি’ সিনেমা দেখতে গেলে কেমন হয়?’ 

লুঙ্গি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর কিছু মানুষ সমালোচনা করলেও বেশি মানুষ বুবলীর প্রসংশা করছেন। অনেকেই বলছেন, এটা হয়ত সিনেমার কোনো একটি দৃশ্য।

এদিকে ছবিটি গত ঈদের সিনেমা হিসেবে সবার আগে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে এবং প্রদর্শিত হয়। সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখেছেন।

জংলি দেখার পর সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াত সমকালকে বলেন, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে প্রথম দেখেছি এম রহিম পরিচালিত ও সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’। জংলির গল্পের লাইনআপটা দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। যারা অভিনয় করেছেন তারাও ভালো করেছেন। গল্পটি পরিবার নিয়ে দেখার মত ছবি।’

এর আগে ‘টান’ ওয়ের ফিল্মে একসঙ্গে দেখা গেছে বুবলী সিয়ামকে। অবশেষে বড় পর্দায় জুটি হতে যাচ্ছেন তারা।  নতুন সিনেমা নিয়ে বুবলী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড। রাহিম ভাইয়ের সাথেও আমার প্রথম কাজ। আমি নিশ্চিত, দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছে। পোস্টার ও টিজারে রহস্যের আভাস পেয়েছে সবাই, সেটাই জিইয়ে থাকুক। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, ‘জংলি’ সিনেমা গল্প-প্রেজেন্টেশন একেবারেই অন্যরকম। দর্শক মুগ্ধ হবে।’

পরিচালক এম রাহিম বলেন, “জংলি’ যে ধরণের গল্প। সেই গল্পের সঙ্গে সিয়ামের বিপরীতে বুবলীই বেশি মানানসই। সিয়াম-বুবলীসহ সবাই দারুণ অভিনয় করেছেন। আশা করি ঈদে দারুণ কিছু উপহার দিতে পারব।”

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ