যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প
Published: 21st, March 2025 GMT
মার্কিন শিক্ষা দপ্তর বন্ধ করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত আদেশে শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমোহনকে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একটি ফেডারেল বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে এক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসকে সংস্থাটি বন্ধে চাপ দিতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর বাজেট দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে কিন্তু জাতীয় পরীক্ষার ফলাফল উন্নত হয়নি।
স্কুলগুলোতে পাঠ্যক্রম নির্ধারণে ফেডারেল সরকারের কোনো ভূমিকা নেই, এটি রাজ্য এবং স্থানীয় সরকারগুলোর দায়িত্ব। রাজ্য ও স্থানীয় সরকার স্কুলগুলোকে ৯০ শতাংম তহবিল প্রদান করে। তা সত্ত্বেও, হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্প ‘রাজ্যগুলোতে শিক্ষা ফেরত পাঠানোর’ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন।
শিক্ষা বিভাগকে লক্ষ্য করে নির্বাহী আদেশটি কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশিত ছিল। এই আদেশে ম্যাকমাহনকে প্রধান কার্যক্রমগুলো বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন ম্যাকমোহনই হবেন শেষ শিক্ষামন্ত্রী।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমার প্রশাসন বিভাগটি বন্ধ করার জন্য সব আইনি পদক্ষেপ নেবে। আমরা এটি বন্ধ করে দেব এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করে দেব। এতে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায়বিচার হয়েছে, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।
আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নাই।
আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।
আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।