লম্বা চুল, মুখ ভর্তি দাড়ি, গায়ে কয়েদির পোশাক, হাতে হাতকড়া। পুলিশের গাড়িতে অভিনেতা আফরান নিশোকে নেওয়া হচ্ছে রাজধানীর গুলশানে। প্রথম দেখাতেই যে কারো মনে হবে নিশোকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে দুইজন পুলিশ। কিন্তু বিষয়টা মোটেও তা নয়।

অভিনেতা আফরান নিশো এমন কোনও অপরাধেও জড়িত নন, যার জন্য সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। মূলত, আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’।

সিনেমাটি মুক্তির আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘দাগি’ সিনেমার নির্মাতা শিহাব শাহীন, দুই নায়িকা তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, অভিনেতা গাজী রাকায়েত, অভিনেত্রী মনিরা মিঠুসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।

এসময় নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, নিশান-জেরিনের ভালোবাসা-বিরহের গল্প ‘দাগি’। একই সঙ্গে চরিত্র দুটির অনুশোচনার গল্পও। আবার এখানে কারাগারের ব্যাপারও আছে। আর জেলের দাগ একবার যার লাগে, বাকি জীবন সে দাগি হয়ে থাকে। এখান থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ক্ষমার বিষয়টি। যা আমাদের জীবনে তো বটেই, ধর্ম ও মানবতারও অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। তাই আমরা বলছি, ‘দাগি’ মুক্তি বা প্রায়শ্চিত্তের গল্প।

এর আগে পুলিশ ভ্যানে আফরান নিশোকে নিয়ে আসা হয় অনুষ্ঠানস্থলে। সংবাদ সম্মেলনও কয়েদীর পোশোকে হাজির হন তিনি। এসময় এমন পোশাকে উপস্থিত হওয়ার ব্যাখ্যাও দিলেন এই অভিনেতা। সমকালকে তিনি বলেন, “আজ যে পোশাকে হাজির হয়েছি এটা ছিল নিতান্তই ‘দাগি সিনেমার প্রচারের জন্য করা। বাইরের দেশগুলোতেও এমন প্রচার বিভিন্ন সময় দেখা যায়। অনেকেই এটা ইতিবাকভাবে, আবার কেউ নেতিবাচকভাবে নিচ্ছে। এটা নির্ভর করে যারা প্রচার মধ্যমের সঙ্গে জড়িত তাদের ওপর। তারা যেভাবে প্রচার চালাবে মানুষের কাছে সেভাবেই পৌঁছাবে।”

সৈয়দপুর, রাজশাহী, ঢাকায় হয়েছে ‘দাগি’ সিনেমার শুটিং। সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে আরও শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতুসহ অনেকে। ‘দাগি’ সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন।

প্রসঙ্গত, ‘দাগি’ সিনেমার টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশো নিজেই। যেটি বুধবার প্রকাশ হয়েছে। রাসেল মাহমুদের কথায়, গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আরাফাত মহসীন নিধি। গানে মূলত নিধির সঙ্গে কিছু অংশ গেয়েছেন নিশো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ আফর ন ন শ

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ, ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী রবিনের মা রহিমা বেগম বলেন, ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে আমার আত্মীয় সাধনা বেগম সাধুনী আমাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। নানা আলোচনা হয় তার সঙ্গে। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি আমাদের ছোট ছেলে মো. রবিনকে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব করেন। আমরা পরিচিত লোক না থাকা, টাকা পয়সা না থাকা ইত্যাদি বলে প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই। তখনই সাধনা বেগম বলেন, তার নিজের ছেলেকে মো. মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি ইতালি পাঠিয়েছেন। আমরা বলি মনিরকে তো আমরা চিনি না। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামকে ফোন করে কথা বলেন। এর এক সপ্তাহ পরে মো. মনির তা স্ত্রী দিনা ইসলাম আমাদের বাসায় আসেন। তখন মনিরের সঙ্গে আমার ছেলেকে ইতালি ফ্লাইটে পাঠাতে হলে ১৪ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি হয়।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন পর অল্প টাকা সংগ্রহের কথা জানালে ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার সময় দালাল মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামসহ কয়েকজন আমাদের আদাবরের বাসায় আসেন। এসময় আমাদের ছেলে রবিনের পাসপোর্ট ও নগদ ৫ লাখ টাকা নেয় তারা। তখন দিনা ও সাধনা বলেন, দালাল মনির রবিনকে সঙ্গে করে নিয়ে ইতালি কর্মস্থলে যাবে। রবিনকে চাকরিতে যোগদান করিয়ে আবার যখন ঢাকায় ফিরবে তখন বাকি ৯ লাখ টাকা দিলেই হবে। এর এক সপ্তাহ পর ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রবিনকে নিয়ে দালাল মনির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশে যায়।

এসময় রবিনের বাবা বলেন, কিছু দিন পর খবর পেলাম ইতালি না নিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে অন্ধকার ঘরে আটকে রাখে ছেলেকে। আটকাবস্থায় আমাদের সন্তানকে ভয়ানক শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চলাকালীন সময়ই তারা ফোনে রবিনকে আমাদের সঙ্গে কথা বলায় টাকা পাঠানোর জন্য। রবিন নির্যাতনের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আমাদের জনায়- তোমরা দ্রুত টাকা না পাঠালে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে!

তিনি বলেন, একথা জানার পর আমরা মনির ও সাধনাকে বলি তোমরা আমার সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনো। তাতে আমাদের সন্তানের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়! সন্তানের জীবনের কথা চিন্তা করে তখন আমরা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন তারিখে মনিরের বাবা কালাম হাওলাদার, মনিরের স্ত্রী দিনা ইসলাম, সাধনার মেয়ে রেখা আক্তার ও মনিরের বোন সিমার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই। যার মানি রিসিট আছে। এছাড়াও পরবর্তীতে নগদে আরও টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা নেয় তারা।

এত টাকা দেওয়ার পরও গত বছরের মার্চ মাস থেকে আমরা আর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের ধারণা- এই মানব পাচারকারীরা আমাদের আদরের ধন রবিনকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাছে ভিক্ষা চাই, আমাদের সন্তানকে ফিরে পেতে তারা যেন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করে।

রবিনের বাবা আরও বলেন, প্রায় এক বছর ধর ছেলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। ছেলের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট এম্বাসি এবং দপ্তরে যোগাযোগ করলে কোনো সহায়তা পাইনি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

সংবাদ সম্মেলনে রবিনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও তার স্কুল শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ খোয়া গেলো ব্যবসায়ীর লাখ টাকা 
  • রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ
  • কৃষিতে ড্রোন পদ্ধতি চালু করতে চীনের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ, ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি
  • শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী 
  • সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
  • রূপগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালক নিহত, আহত ২
  • হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম
  • চীন মালিকানাধীন ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, কোটি টাকার মালামাল লুট
  • শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ দুই উপদেষ্টার