ফড়িং সোনা, আর ক’দিন পরেই আসছে পহেলা বৈশাখ। মানে বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিনটা দিয়েই যে বাংলা বছরের শুরু হয় তা তো জানোই। তো বাংলা বছরের এই প্রথম দিনকে নিয়ে তোমরা কী ভাবছো, কী আঁকছো এবং কী লিখছো– তা আমাদের কাছে জলদি করে পাঠিয়ে দাও। আমরা খুব যত্ন করে তোমাদের ভাবনা, তোমাদের আঁকা-লেখা ঘাসফড়িংয়ে ছেপে দেবো।
আমাদের কাছে লেখা পাঠানোর ঠিকানাটা তো জানোই। তবু
আবার বলছি–
আমাদের ঠিকানা
ফড়িং মিয়া, ঘাসফড়িং, সমকাল
৩৮৭ তেজগাঁও শি/এ, ঢাকা-১২০৮
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আসন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে বহিষ্কার
আসন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার পর পটুয়াখালী-১ (সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে দলটির জেলা কমিটির সদস্য আবুল হাসান বোখারীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা কমিটির সভাপতি হাওলাদার মো. সেলিম মিয়া বহিষ্কার আদেশসহ নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ পাওয়ায় তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আসনটির জন্য ঘোষিত তাঁর মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমান হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘আসলে আমার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। যার কারণে পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নির্বাচন করার স্বপ্ন ফেরি করে আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। আমার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও মুহতারাম চরমোনাইর পীর সাহেব ও দলের আমির দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে পটুয়াখালী সদর আসনে নির্বাচন করার জন্য নির্ধারণ করে দেন। এতে আমি হতাশ হই। তারপরেও পটুয়াখালী সদর আসনে নির্বাচন করার জন্য দুই মাস ধরে কাজ করি।’
এ সিদ্ধান্ত কলাপাড়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মানতে পারছিলেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তাঁরা আমাকে বারবার চাপ দিতে থাকে। এসব নেতা-কর্মীর একটাই কথা, আমার নিজ এলাকা পটুয়াখালী-৪ আসনেই নির্বাচন করতে হবে। নেতা-কর্মীদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অবহেলা করে টাকার রাজনীতির কাছে নতি স্বীকার করে আমি তাঁদের ছেড়ে যেতে পারি না। এ কারণে পটুয়াখালী সদর আসন ছেড়ে দিয়ে আমার নিজ নির্বাচনী এলাকা কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পটুয়াখালী-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মুফতি হাবিবকে স্থানীয় বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে। মুফতি হাবিব মোটরসাইকেল নিয়ে কলাপাড়া পৌর শহরে এক-দেড় শ লোক নিয়ে একটা মহড়া দিয়েছেন, তাতে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতা-কর্মী। এতে আমার তেমন ক্ষতি হবে না; বরং ইসলামী আন্দোলনের সাচ্চা নেতা-কর্মীরা ইমানি শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এ নিয়ে আমরা একটুও বিচলিত নই।’