মাঠে ছিলেন তিন মিনিট, পরে নৈশ ক্লাবে কাটালেন তিন ঘণ্টা—জীবনটা কীভাবে উপভোগ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত তো জ্যাক গ্রিলিশ অনেক আগেই নিয়ে রেখেছেন।

ইদানীং ম্যানচেস্টার সিটির একাদশে নিয়মিত নন খুব একটা। ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি থাকে সিনেমার অতিথি চরিত্রের মতো, খেলেন এ রকম তিন, পাঁচ বা দশ মিনিটের মতো। কিন্তু সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা সুযোগ দিচ্ছেন না বলে মনমরা হয়ে থাকবেন, গ্রিলিশ এমন লোকই নন!

এই তো গত শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ৫-২ গোলে জয়ে গ্রিলিশ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র তিন মিনিট। কিন্তু রাতে এমন পার্টি করেছেন, যেন তিনিই ছিলেন ম্যাচের নায়ক! ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান একটা ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রোববার রাতে লন্ডনের মেফেয়ারে এক বিলাসবহুল নৈশ ক্লাবে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করছেন ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি পাউন্ডে অ্যাস্টন ভিলা থেকে সিটিতে যোগ দেওয়া গ্রিলিশ।

দ্য সানের পাওয়া সেই ভিডিও ফুটেজে গ্রিলিশ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ