আইইউবির সহ–উপাচার্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড
Published: 15th, April 2025 GMT
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)–এর সহ–উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন কানাডীয় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড।
রোববার (১৩ এপ্রিল) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আইইউবিতে যোগদানের আগে তিনি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ব্রিটিশ ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ও এক্সিকিউটিভ এডুকেশন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ প্যাসিফিক অঞ্চলের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব বিষয়ে ডক্টর অব এডুকেশন (এডডি) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পিএইচডি, কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির শুলিক স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
পাশাপাশি তিনি ডিউক ইউনিভার্সিটির ফুকোয়া স্কুল অব বিজনেস, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও এমআইটির স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে শিক্ষাদান ও নেতৃত্ব বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় নেতৃত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা, প্রবাসী শিক্ষকদের অভিযোজন ও মানবসম্পদ কৌশল নিয়ে গবেষণায় তাঁর আগ্রহ রয়েছে।
তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছেন, প্রকাশনায় অধ্যায় লিখেছেন এবং পিয়ার–রিভিউ জার্নালে নিয়মিতভাবে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ড্যানিয়েল লুন্ড এমআইটির স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের আন্তর্জাতিক ফেলো ও একাডেমি অব ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট স ক ল অব কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’