ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)–এর সহ–উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন কানাডীয় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড।

রোববার (১৩ এপ্রিল) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আইইউবিতে যোগদানের আগে তিনি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ব্রিটিশ ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ও এক্সিকিউটিভ এডুকেশন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ প্যাসিফিক অঞ্চলের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব বিষয়ে ডক্টর অব এডুকেশন (এডডি) ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পিএইচডি, কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির শুলিক স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

পাশাপাশি তিনি ডিউক ইউনিভার্সিটির ফুকোয়া স্কুল অব বিজনেস, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও এমআইটির স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে শিক্ষাদান ও নেতৃত্ব বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষায় নেতৃত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা, প্রবাসী শিক্ষকদের অভিযোজন ও মানবসম্পদ কৌশল নিয়ে গবেষণায় তাঁর আগ্রহ রয়েছে।

তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছেন, প্রকাশনায় অধ্যায় লিখেছেন এবং পিয়ার–রিভিউ জার্নালে নিয়মিতভাবে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ড্যানিয়েল লুন্ড এমআইটির স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের আন্তর্জাতিক ফেলো ও একাডেমি অব ম্যানেজমেন্টের একজন সদস্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট স ক ল অব কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ