এই রেফারির ওপর কেন এত ক্ষোভ রিয়ালের
Published: 26th, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাল রাতেই শুরু হয় গুঞ্জন, রিয়াল মাদ্রিদ কোপা দেল রে ফাইনালে খেলবে তো! ইউরোপিয়ান ফুটবলের খবরাখবর দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচিত হয়ে ওঠা ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো কিছুক্ষণ পর পর ঘটনার হালনাগাদ তথ্য পোস্ট করছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাংলাদেশ সময় বেশ গভীর রাতে অচলায়তনের অবসান ঘটে। বিবৃতি দিয়ে কোপা দেল রে ফাইনালে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুনরেফারিদের বিরুদ্ধে রিয়ালের ‘যুদ্ধ ঘোষণা’, কোপার ফাইনালের আগে ধুন্ধুমার১ ঘণ্টা আগেতার আগের ঝামেলাটা এতক্ষণে সবার জানা। ইএসপিএনকে সূত্র জানিয়েছে, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) কাছে এই ম্যাচের রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়াকে পাল্টানোর অনুরোধ করেছিল রিয়াল। কিন্তু আরএফইএফ রিয়ালের এই অনুরোধ রাখেনি বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও রিয়ালের পক্ষ থেকে এমন কোনো অনুরোধের বিষয়টি আরএফইএফের একটি সূত্র ইএসপিএনের কাছে অস্বীকার করেন। কিন্তু ফাইনালের আগে এই ম্যাচের মূল রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া ও ভিএআর প্রধান পাবলো গঞ্জালেস ফুয়ের্তেসের সংবাদ সম্মেলনে বলা কথাগুলো মাদ্রিদের ক্লাবটি ভালোভাবে নিতে পারেনি। একটি কড়া বিবৃতিতে ক্লাবটির পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্যকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলা হয়।
প্রশ্ন হলো, এই রেফারির ওপর কেন ক্ষোভ রিয়ালের? ফাইনালের আগে রেফারির সংবাদ সম্মেলন নিয়ে কেন-ই-বা এত বিতর্ক তৈরি হলো?
সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে ফেলেন বেনগোচেয়া.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।