নিজ বাড়িতে ছুটিতে থাকা অবস্থায় পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দেওয়া ডাকাতদলকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক সেনা সদস্য। তার নাম মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (২৮)। 

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাত ৩টার দিকে হাটহাজারী বাস স্টেশন মেখল রোডের মাথায় এই ঘটনা ঘটে। আহত সেনা সদস্যকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

জানা যায়, সেনা সদস্য শহীদুল ইসলামের পারিবারিক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাটহাজারী মেখল রোডে। গাউছিয়া গ্রোসারি নামের এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে শহীদুল ইসলামের দুই ভাই রাশেদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম। 

আমিনুল ইসলাম জানান, রাত প্রায় তিনটার দিকে এই গ্রোসারির দোকানটিতে একদল ডাকাত অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশ টাকা ও মালামাল লুট করতে থাকে। খবর পেয়ে বাড়িতে থাকা সেনা সদস্য শহীদুল ইসলাম ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে যান। এই সময় ডাকাতদলের সদস্যরা শহীদুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি তার গলায় বিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম সামারিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ডাকাতদলের সদস্যরা দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকা ও দোকানের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপিতে চালু হলো অনলাইন জিডি

পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১০ আগস্ট থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এখন থেকে যে কেউ ঘরে বসেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোর থেকে অনলাইন জিডি অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নির্দেশনা মোতাবেক স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই জিডি করা যাবে।

থানায় নিয়মিত জিডির মতোই এতে একজন আবেদনকারী একটি জিডি নম্বর এবং জিডি–সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাবেন।

ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য সংরক্ষণ করা হয় বিধায় এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও বজায় থাকে।

অনলাইন জিডির মাধ্যমে পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের মূল্যবান সময়ও সাশ্রয় হবে।

কেবল জিডি করাই নয়, জিডির ভিত্তিতে পুলিশের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকায় এটি নাগরিক জীবনে স্বস্তিও বয়ে আনবে।

অনলাইন জিডির পাশাপাশি প্রচলিত জিডি কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ