এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে নয়
Published: 27th, April 2025 GMT
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল) এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না। এসব কমিটির সদস্য মনোনয়নে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নাম প্রস্তাব না করতে উপাচার্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপাচার্যদের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে ইতিমধ্যে এসব কমিটিতে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা মনোনীত হয়ে থাকলে তাঁদের জায়গায় অন্য শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করছে। কিন্তু তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন বলে নিয়োগপত্রের শর্তে উল্লেখ আছে। তাই আইনগতভাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সব কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই বলে তাঁদের নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন ম প রস ত ব সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।