পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল) এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না। এসব কমিটির সদস্য মনোনয়নে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নাম প্রস্তাব না করতে উপাচার্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপাচার্যদের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে ইতিমধ্যে এসব কমিটিতে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা মনোনীত হয়ে থাকলে তাঁদের জায়গায় অন্য শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করছে। কিন্তু তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন বলে নিয়োগপত্রের শর্তে উল্লেখ আছে। তাই আইনগতভাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সব কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই বলে তাঁদের নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন ম প রস ত ব সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ