পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল) এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন না। এসব কমিটির সদস্য মনোনয়নে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নাম প্রস্তাব না করতে উপাচার্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপাচার্যদের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে ইতিমধ্যে এসব কমিটিতে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা মনোনীত হয়ে থাকলে তাঁদের জায়গায় অন্য শিক্ষকদের নাম প্রস্তাব করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিন্ডিকেট, শিক্ষা পরিষদ এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করছে। কিন্তু তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত থাকেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁরা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন বলে নিয়োগপত্রের শর্তে উল্লেখ আছে। তাই আইনগতভাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সব কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই বলে তাঁদের নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন ম প রস ত ব সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজের ছেলেশিশুকে মেরে ফেলে?

মানুষের মতো পশুদেরও সমাজ আছে। তাদেরও সামাজিক, পারিবারিক এবং দলগত আলাদা আলাদা রীতি আছে। দলে বা সমাজে সবচেয়ে ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য পশুরাও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয়। এমনকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের সন্তানকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। বিশেষ করে জলহস্তী সমাজে এই রীতি রয়েছে। জলহস্তীদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। অর্থাৎ বাবার পরে ছেলে পরিবারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। তবে পরম্পরায় নয় বরং একজন আরেকজনকে মেরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে থাকে।

জলহস্তী মা যদি ছেলেশিশুকে অনেক কষ্টে লুকিয়ে বড় করে তবে এক সময় সেই সন্তান বড় হয়ে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর বাবা আর ছেলের রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়। যার শেষ হয় হয় বাবার মৃত্যু অথবা ছেলের মৃত্যুর মাধ্যমে।

অথবা যে পরাজিত হয় সে দল ত্যাগ করে, পরিবার ত্যাগ করে। পশু সমাজে জলহস্তীদের মধ্যে এই ছেলেশিশু হত্যার প্রবণতা সবচেয়ে প্রকট।

আরো পড়ুন:

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

জার্মানিতে বর্বরতার শিকার বাচ্চা মোরগ

ছেলে সন্তান জন্মের পরেই জলহস্তী পরিবারে নেমে আসে অজানা আতঙ্ক। বাবা জলহস্তী নিজ সন্তানকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়ায়।

জলহস্তীরা সাধারণত এক একটি দলে ভাগ হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক দলে ৬-১০টি সদস্য থাকে। প্রত্যেক দলে মাত্র একজনই পুরুষ থাকে, বাকিরা নারী। পুরুষটি পুরো দলের ওপর শাসন ক্ষমতা বিস্তার করে। একক শাসক হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলে। 

একটি ছেলেশিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মা জলহস্তীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। 

gorillatrailsafaris.com – এর তথ্য, ‘‘স্ত্রী জলহস্তীর গর্ভধারণ ৮ মাস স্থায়ী হয়। সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলেই মা জলহস্তী দল থেকে দূরে সরে যায়। সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত দূরে থাকে। যেকোনো ধরণের হুমকি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য শিশু জলহস্তী যখন দৌড়াতে শেখে, আত্মরক্ষা করতে শেখে তখন সেই সন্তানকে নিয়ে দলে ফেরে মা জলহস্তী। ’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ