বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে ছাত্র–জনতা হত্যা মামলার পলাতক শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) শ্রমিক উইং। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এনসিপির নেতারা মিছিল নিয়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। মনোনয়ন বাতিলে আজ শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন তাঁরা।

এর আগে গতকাল এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানী বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আপত্তি জানান।

আপত্তিপত্রে বলা হয়, গঠনতন্ত্রের অজুহাত তুলে কোনো ফ্যাসিস্টকে পুনর্বাসনের চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে যেমন কোনো সংবিধানের দরকার হয়নি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের প্রতিহত করতেও কোনো গঠনতন্ত্রের দরকার হবে না। মনোনয়ন বাতিল করা না হলে এনসিপির পক্ষ থেকে ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করা হবে।

আবদুল্লাহ আল সানী বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–আন্দোলনে ছাত্র–জনতা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ আসামি এই পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, এটি ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগের প্রতি চরম অবমাননা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গণ অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেও গতকাল পর্যন্ত মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা এর নিন্দা জানাই।’

যে পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন শেখ হেলাল, সহসভাপতি পদপ্রার্থী ও বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ও জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আবদুল গফুর প্রামাণিক, প্রচার সম্পাদক পদপ্রার্থী ও বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন এবং কার্যকরী সভাপতি পদপ্রার্থী ও শ্রমিক লীগের নেতা আনোয়ার হোসেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও বগুড়া আদালতের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ বলেন, পলাতক আসামি হওয়া মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য যথেষ্ট নয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অভিযোগ এসেছে যে পাঁচ প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন দাখিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে যাচাই–বাছাই করা হবে এবং প্রার্থীদের আজ সশরীর উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তাঁরা উপস্থিত না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হতে পারে।

২৩ মে বগুড়া জিলা স্কুলে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩তম ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৭২।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব চ ছ স বক ল গ র নয়ন ব ত ল পদপ র র থ এনস প র আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গোয়ালন্দে মানববন্ধন, ইউএনওর অপসারণ দাবি

পদ্মা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, মাদক ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলাবাসী ব্যানারে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বিএনপির মতো বড় দল নিয়ে বিদ্রূপ করায় গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো. নিজামকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বিএনপির নেতারা তাঁকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে পৌর বিএনপির সভাপতি কাসেম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বিএনপি নেতা খন্দকার আবদুল মুহিত, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জিয়াউল হুদা উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল সরদার, দপ্তর সম্পাদক জিলাল প্রামাণিক, দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসলাম মণ্ডল, উজানচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মৃধা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুধীর কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম মণ্ডল বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির লোকজন নিজেদের বিএনপির লোকজন দাবি করে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁরা এখন লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিক্রি বা চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খান বলেন, ‘বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো. নিজাম ‘বারো নাপিতের পার্টি-বিএনপি’ বলে বিদ্রূপ করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আজকের সভা থেকে শেখ নিজামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় অনেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কখনো এসব সম্ভব নয়। তাই ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাঁরা ইউএনওকে সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।

গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কোথাও কোনো বালুমহাল নেই। পদ্মা নদী বা অন্য কোথাও থেকে তিনি মাটি বা বালু কাটতে কাউকে অনুমতি দেননি। এ বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুবদল নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ
  • বোধনের ‘প্রকৃতির কোলে ও কাঁখে বৈশাখ’
  • পটুয়াখালীতে গানের আয়োজনে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে অতিথি ওসি
  • অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গোয়ালন্দে মানববন্ধন, ইউএনওর অপসারণ দাবি
  • অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এগিয়ে আসুক
  • সরকার প্রকৃতই বৈষম্যবিরোধী হলে মে মাসেই ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা উচিত: মুজাহিদুল ইসলাম
  • দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি: জাসদের শ্রমিক জোট
  • শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার করার দাবি টিইউসির
  • জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা