জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত ৯ মাসে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অন্তত ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে ৩৩টি ঘটেছে আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। বাকি ৩টি ঘটনা ঘটেছে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে। ৩৬টি হামলার ঘটনার মধ্যে ১৩টিতে যোগ ছিল আওয়ামী লীগ অথবা এর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের। আর ৯টি হামলায় জড়িত ছিলেন বিএনপি ও এর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহত ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা–নিপীড়নের একটি বিশ্লেষণ করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) ‘বাংলাফ্যাক্ট টিম’। তাদের বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাফ্যাক্ট টিম বলেছে, এসব ঘটনার বাইরে আরও হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও গবেষণা–সীমাবদ্ধতার কারণে ফলাফলে উঠে আসেনি।

আজ রোববার পিআইবির বাংলাফ্যাক্ট টিমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে গত ৯ মাসে কমপক্ষে ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তি অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর। গত ৯ মাসে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই ৩৬টি ঘটনার মধ্যে ৩৩টি আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে। বাকি ৩টি জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে। শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঘটা তিনটি হামলার মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে হামলাকারীদের সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৩৬টি হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় অংশ আওয়ামী লীগ অথবা এর অঙ্গসংগঠনের (ছাত্রলীগ–যুবলীগ) নেতা–কর্মীরা। ৩৬টি ঘটনার মধ্যে ১৩টিতেই তাদের যোগ ছিল। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর পরেই আছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা। তাঁরা মোট ৯টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর হামলা বাদে আরও ৯টি হামলার ঘটনায় এখনো সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে হামলার ধরন ও পারিপার্শ্বিক আলামত দেখে ধারণা করা যায়, হামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হতে পারে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে হামলাকারীদের সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত অথবা ছিনতাইকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩৬টি হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৮৯ জন আহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পিআইবির বাংলাফ্যাক্ট টিম। তারা আরও বলেছে, জুলাইয়ের শহীদদের কবরে হামলার একাধিক ঘটনার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। যেমন গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকা শহীদ ফয়জুল ইসলাম রাজনের কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, এ ঘটনায় শ্রমিক দলের একজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ কেরানীগঞ্জেই শহীদ সায়েমের কবর ভাঙচুর করা হয়, যেখানে শহীদের মা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে দায়ী করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র পর ব র র র ওপর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তি বা তাঁদের পরিবারের ওপর ৯ মাসে অন্তত ৩৬ হামলা

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত ৯ মাসে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অন্তত ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে ৩৩টি ঘটেছে আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। বাকি ৩টি ঘটনা ঘটেছে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে। ৩৬টি হামলার ঘটনার মধ্যে ১৩টিতে যোগ ছিল আওয়ামী লীগ অথবা এর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের। আর ৯টি হামলায় জড়িত ছিলেন বিএনপি ও এর অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহত ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা–নিপীড়নের একটি বিশ্লেষণ করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) ‘বাংলাফ্যাক্ট টিম’। তাদের বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাফ্যাক্ট টিম বলেছে, এসব ঘটনার বাইরে আরও হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও গবেষণা–সীমাবদ্ধতার কারণে ফলাফলে উঠে আসেনি।

আজ রোববার পিআইবির বাংলাফ্যাক্ট টিমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর থেকে গত ৯ মাসে কমপক্ষে ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তি অথবা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপর। গত ৯ মাসে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই ৩৬টি ঘটনার মধ্যে ৩৩টি আন্দোলনে জড়িত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে। বাকি ৩টি জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে। শহীদ পরিবারের সঙ্গে ঘটা তিনটি হামলার মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে হামলাকারীদের সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৩৬টি হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় অংশ আওয়ামী লীগ অথবা এর অঙ্গসংগঠনের (ছাত্রলীগ–যুবলীগ) নেতা–কর্মীরা। ৩৬টি ঘটনার মধ্যে ১৩টিতেই তাদের যোগ ছিল। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর পরেই আছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা। তাঁরা মোট ৯টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর হামলা বাদে আরও ৯টি হামলার ঘটনায় এখনো সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে হামলার ধরন ও পারিপার্শ্বিক আলামত দেখে ধারণা করা যায়, হামলাগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হতে পারে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে হামলাকারীদের সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত অথবা ছিনতাইকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩৬টি হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ৮৯ জন আহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে পিআইবির বাংলাফ্যাক্ট টিম। তারা আরও বলেছে, জুলাইয়ের শহীদদের কবরে হামলার একাধিক ঘটনার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। যেমন গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জে থাকা শহীদ ফয়জুল ইসলাম রাজনের কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, এ ঘটনায় শ্রমিক দলের একজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ কেরানীগঞ্জেই শহীদ সায়েমের কবর ভাঙচুর করা হয়, যেখানে শহীদের মা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে দায়ী করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ