বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, পশুপালন ও দুগ্ধজাত খাত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, বিমানবন্দর আধুনিকীকরণ, কার্গো ভিলেজে সুবিধা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের বিকাশে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল নির্মাণে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডার ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এ আগ্রহের কথা জানান। আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। উইন উইন বিজনেস রিলেশন দুইদেশের জন্য সুবিধাজনক হবে।

কানাডাকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বেশ চাহিদা রয়েছে। চট্রগ্রামের মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে জমি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কানাডার ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগ করে নিজেরা লাভবান হতে পারে এবং বাংলাদেশকেও লাভবান হতে সাহায্য করতে পারে।

পল থোপিল বলেন, ‘বাংলাদেশ কানাডার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পের একটি উল্লেখযোগ্য ক্রেতাও দেশটি।’ এসময় তিনি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপকে কার্যকর করা ও এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি, পশু পালন ও দুগ্ধজাত খাত, নবায়ন যোগ্য জ্বালানি খাত, বিমান বন্দর আধুনিকীকরণ, কার্গো ভিলেজে সুবিধা বৃদ্ধি এবং পর্যটনের বিকাশে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল নির্মান বিনিয়োগে তার দেশ আগ্রহী।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মঞ্জুর কবীর ভূইয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ধামরাইয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে হেনস্তার শিকার পুলিশ 

ঢাকার ধামরাইয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য হেনস্তার শিকার হয়েছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি মারধরের অভিযোগও করেন তারা। 

এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছে পরিবারের এক সদস্য। ঘটনার জেরে প্রাথমিকভাবে পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পাবরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হেনস্তার শিকার দুই পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমান। তারা ধামরাই থানায় কর্মরত ছিলেন। তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মো. সুমন নামে সিআর মামলায় (২৩৭/২৪) ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ধরতে পাবরাইল এলাকায় একটি বাড়িতে যায় পুলিশের দুইজন এএসআই ও দুইজন কনস্টেবল। সেখানে আসামির বাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যদের দেখে সন্দেহজনকভাবে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় এএসআই সেলিম তাকে ধরার চেষ্টা করেন। তবে ওই ব্যক্তি সেলিমকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। 

একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবল তাকে আটক করে হাতকড়া পরান। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। আটকের পরিবারের সদস্যরাও পুলিশকে কিল-ঘুষি দেন। এসময় আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে বিমানবাহিনীর কর্পোরাল পরিচয় দেন। এরপর তাৎক্ষণিক তার হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকে চলে যান। এরমধ্যে হাতকড়া পরানোর কারণে তারা তার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে। ধস্তাধস্তিতে চার পুলিশ সদস্যই শরীরে আঘাত পান।

এদিকে এ ঘটনার জেরে জসীম উদ্দিন নামে ওই বিমান বাহিনির সদস্য ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

সাধারণ ডায়রিতে তার দাবি, পুলিশ সদস্যরা তার বাড়ি এসে তাকে উঠানে ডেকে নিয়ে হাতে হাতকড়া পরায় ও রাস্তার দিকে টানতে থাকে। এসময় পুলিশ সদস্যদের দেখে তিনি নিজের পরিচয় দেন ও তার স্ত্রী বিমানবাহিনীর পরিচয়পত্র দেখান। তবে পুলিশ সদস্যরা সেই পরিচয়পত্র ছুড়ে ফেলে। এএসআই সেলিম তার স্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে পেছনে কয়েকটি লাথি মারে। এরপর তাকে টেনে এনে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে শুকনা ভুট্টা গাছের স্তুপের ওপর ফেলে দেয়। তার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করে লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করে। এতে তার মুখে রক্তাক্ত জখম হয়। 

ঘটনার শুরু থেকে একাধিকবার তিনি পরোয়ানা আছে কিনা জানতে চাইলেও পুলিশ কোনো পরোয়ানা দেখায়নি। তার পিতা আক্কাছ আলী এগিয়ে এলে তাকেও পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগে লেখা হয়েছে। পরবর্তীতে এএসআই সেলিম তার ফোনে কথা বলার পর তার হাতকড়া খুলে দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, “ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তিনি এএসআই সেলমিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তখন পুলিশের অন্য সদস্যরা আটক করে হ্যান্ডকাফ পরালে তিনি নিবৃত হন। 

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের নাম জসিম ও বিমান বাহিনিতে কর্মরত বলে জানান। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তারই আপন ভাই। পরিচয় পেয়ে তার হ্যান্ডকাফ খুলে দেওয়া হয়। সেখানে অন্য কাউকে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তদন্ত করা হবে। এরপর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/আরিফুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ব্যবসায়ীর দাঁত উপড়ে ফেলে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা
  • ধামরাইয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে হেনস্তার শিকার পুলিশ 
  • বিএনপি সব সময় শ্রমিকদের পাশে আছে : রাজিব 
  •  খালেদা জিয়ার সুস্থতায় জাকির খানের দোয়া 
  • ফতুল্লায় জে. আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বর্ষপূর্তি উদযাপন
  • সাতক্ষীরায় জেলি পুশ করা ৩০০ কেজি চিংড়ি জব্দ, জরিমানা
  • শ্রমিকরাই জীবন দিয়ে বাংলাদেশের মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে : মামুন মাহমুদ
  • মুন্সীগঞ্জে দিনমজুরের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
  • ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার, কচুয়ায় গ্রেপ্তার ২ জন