রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) সাড়ে ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির ১৩ জন ছাত্রী একযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। 

অভিযোগপত্রে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষক মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে আসছেন। বিষয়গুলো এতদিন ভয় ও লজ্জার কারণে কাউকে জানানো হয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তার আচরণ আরও বাড়তে থাকায় পরিবারকে বিষয়টি জানাতে বাধ্য হন তারা।

অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ইউএনও ফয়সাল আহমেদ অভিযুক্ত শিক্ষককে কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। সেসময় শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তার আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘‘১৩ ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

বরখাস্ত শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি এমন কোনো কাজ করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পড়ে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি।’’

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রারের অসদাচরণ ও শিক্ষককে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমনকি আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গেও একই রকম অসদাচরণ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।”

একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তিনি এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। তিনি যদি ক্ষেপতেই চান, তাহলে মাঠে যাক। স্বৈরাচারের দোসরদের ঠিকানা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নিতে গেলে অপমানজনক আচরণের শিকার হন। স্বাক্ষর দিতে গড়িমসি, লাঞ্চের অজুহাত দেখিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং দ্রুত চাইলে আরো দেরি হবে বলে মন্তব্য করে শিক্ষককে বারবার হয়রানি করেন রেজিস্ট্রার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপমান করা মানে পুরো শিক্ষার্থী সমাজকেই অসম্মান করা উল্লেখ করে তারা দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনসিপির প্রোগ্রামে বাধা দেওয়ায় কথা কাটাকাটি, জিডি করলেন এসিল্যান্ড
  • শরণার্থীদের জন্য মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা
  • ‘ভাই’ বলায় সাংবাদিকের উপর ক্ষেপলেন এসিল্যান্ড
  • আমানত রক্ষা করা ইসলামের সামাজিকতার সৌন্দর্য
  • সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ চরমে
  • আল-আকসায় ঢুকে প্রার্থনা করলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
  • জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
  • সদর উপজেলার নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিন, পদোন্নতি পেলেন সাদিক
  • দুর্ঘটনা-দুর্যোগের পর শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কী করা উচিত