বাসা থেকে পুলিশের পিস্তল-গুলি চুরি, এসআই সাসপেন্ড
Published: 6th, May 2025 GMT
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার ভাড়া বাসা থেকে সরকারি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ১৬টি গুলি চুরি হয়েছে। সোমবার ফরিদগঞ্জ থানার ১০০ গজ দূরে আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই রাকিব উদ্দিনকে সাসপেন্ড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ রকিব উদ্দিন। তিনি বলেন, পিস্তল ও গুলি উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
এসআই রাকিব উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তিনি বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। বিকেলে বাসায় ফিরে দরজা খোলা ও আসবাব এলোমেলো দেখতে পান। বাসার ভেতরে একটি ব্রিফকেসে থাকা সরকারি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিনসহ ১৬টি গুলি এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম সমকালকে জানান, রাকিব উদ্দিন গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ থানায় যোগদান করেন। তিনি ওই বাসায় একাই থাকতেন। দুর্বৃত্তরা তার বাসার তালাটি কৌশলে খুলে ফেলে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পিস্তল ও গুলি এবং অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমানসহ সিআইডির পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এসআইকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর
বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কিছু ব্যক্তি। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
কেএমপি থেকে জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দীর্ঘদিন সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাঁকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমে তাঁকে ঢাকায় ও পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার তিনি খুলনায় আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাঁকে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন গেট এলাকায় বিএনপির একটি কর্মসূচি ছিল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছিলেন সুকান্ত। অটোরিকশা ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আরও যাত্রী ওঠানোর সময় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সুকান্তকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। পরে দলের সিনিয়র নেতারা তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, উত্তেজিত লোকজন এসআই সুকান্তকে মারধর করে। নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেউ মারধরে জড়িত নয়। তিনি বলেন, খুলনায় কর্মরত অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর সীমাহীন নির্যাতন করেছেন সুকান্ত।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিঁড়ে গেছে।