যশোরের চৌগাছা উপজেলায় আসামি গ্রেপ্তারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত এএসআই লাবলুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মাকাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, এএসআই মিরাজুল ইসলাম, এএসআই লাবলুর রহমান, কনস্টেবল ভিক্টর ঘোষ, রবিউল ইসলাম, সুলতান আহমেদ ও মেহেদী হাসান।

আরো পড়ুন:

কিশোরীকে উদ্ধারে গিয়ে মারধরে আহত ৩ পুলিশ

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা

পুলিশ জানায়, নিয়মিত মামলার আসামি মাকাপুর গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে সিয়ামকে (২৩) গ্রেপ্তারে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান এসআই মারুফ ও এসআই উত্তম। সিয়ামকে আটক করা হলে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এসময় ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, “ওসির চোখের কোণে এবং এক পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত রয়েছে। আহত ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত এএসআই লাবলুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি আছেন।” 

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “আসামি সিয়ামকে আটক করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত প ল শ সদস য র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার 

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।

মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। 

সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।

আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাগড়াছড়িতে হত্যা ও হামলার ঘটনায় ৩ মামলা
  • পাথরঘাটায় ৪০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
  • পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার