বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক সাব-অরবিটাল রকেট ‘বিদ্রোহী’ প্রদর্শনীতে উন্মোচিত হয়েছে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ধূমকেতু এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই রকেট প্রদর্শনী উন্মোচন করা হয়।

আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের প্রথম বাণিজ্যিক সাব-অরবিটাল রকেট ‘বিদ্রোহী’ পর্যায়ক্রমে দেশের ৮টি বিভাগে প্রদর্শন করা হবে। এই রকেটের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণাসহ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। এটি বাংলাদেশের মহাকাশ উন্নয়নের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি জাতির প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে বলে জানান তারা। এছাড়াও প্রদর্শনীতে রকেটটির অত্যাধুনিক ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হয়। এতে সলিড এবং লিকুইড ফুয়েল ব্যবহার হয়েছে।

ধুমকেতুর সিইও নাহিয়ান আল রহমান বলেন, বিদ্রোহী এক্স রকেট প্রকল্প একটি নতুন যুগের সূচনা করছে। এর গবেষণা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমাদের মূল ফোকাস উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করার জন্য সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ। তিনি বলেন, এই রকেট প্রদর্শনীর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য আনন্দের একটি বিষয়। বিজ্ঞানের ওপর তারা যে কাজ করেছে, তা আমাদের গবেষণা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনসহ সব ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার কাজে লাগবে। এজন্য আমাদেরও পলিসি অ্যাপ্লাই করতে হবে। এজন্য আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর আলিফ খান (৫) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত আলিফ উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের স্বল্পছাপিলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী কানন খানের ছেলে। সে স্বল্পছাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গত বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় আলিফ। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে প্রতিবেশী ওয়াসিম খানের কচুরিপানাযুক্ত পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পাগলা থানা-পুলিশ জলাশয় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

শিশুটির প্রতিবেশী রাহাত খান বলেন, সৌদিপ্রবাসী কানন খানের একমাত্র ছেলে ছিল আলিফ। অনেকে বলছেন, শিশুটিকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই পরিবারের সঙ্গে কারও বিরোধ নেই।

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, পাঁচ দিনে শিশুটির মরদেহ গলতে শুরু করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোমবার ১৩টি জেলা নির্বাচন অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান
  • ময়মনসিংহে ‘ফাঁদে ফেলে’ প্রবাসীর ১৪ হাজার রিয়াল লুটে নেওয়ার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
  • বরিশালে স্ত্রী নির্যাতন সবচেয়ে বেশি, কোথায় সবচেয়ে কম
  • পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পাচ্ছে ৩০ প্রতিষ্ঠান
  • কান্নার শব্দ পেয়ে ঝোপ থেকে নবজাতক উদ্ধার
  • গফরগাঁওয়ে নিখোঁজর পাঁচ দিন পর জলাশয়ে মিলল শিশুর মরদেহ
  • ময়মনসিংহে বাস–পিকআপ–অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
  • নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসে ৪ গাড়ির ধাক্কা, নিহত ৩
  • এনসিপির কমিটিতে আ.লীগ নেতাকর্মী, সমালোচনার ঝড়
  • সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে সরকার: ফরিদা আখতার