দেশের প্রথম বাণিজ্যিক রকেট ‘বিদ্রোহী’র প্রদর্শনী
Published: 6th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক সাব-অরবিটাল রকেট ‘বিদ্রোহী’ প্রদর্শনীতে উন্মোচিত হয়েছে। ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ধূমকেতু এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই রকেট প্রদর্শনী উন্মোচন করা হয়।
আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের প্রথম বাণিজ্যিক সাব-অরবিটাল রকেট ‘বিদ্রোহী’ পর্যায়ক্রমে দেশের ৮টি বিভাগে প্রদর্শন করা হবে। এই রকেটের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণাসহ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। এটি বাংলাদেশের মহাকাশ উন্নয়নের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি জাতির প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে বলে জানান তারা। এছাড়াও প্রদর্শনীতে রকেটটির অত্যাধুনিক ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হয়। এতে সলিড এবং লিকুইড ফুয়েল ব্যবহার হয়েছে।
ধুমকেতুর সিইও নাহিয়ান আল রহমান বলেন, বিদ্রোহী এক্স রকেট প্রকল্প একটি নতুন যুগের সূচনা করছে। এর গবেষণা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমাদের মূল ফোকাস উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করার জন্য সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ। তিনি বলেন, এই রকেট প্রদর্শনীর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য আনন্দের একটি বিষয়। বিজ্ঞানের ওপর তারা যে কাজ করেছে, তা আমাদের গবেষণা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনসহ সব ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার কাজে লাগবে। এজন্য আমাদেরও পলিসি অ্যাপ্লাই করতে হবে। এজন্য আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।