ভোলায় কালবৈশাখীতে ৫০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত, আহত ৩০ জেলে
Published: 9th, May 2025 GMT
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নে কালবৈশাখীতে জেলেদের ৫০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এর মধ্যে ৯ বছরের এক শিশু নৌকার ইঞ্জিনের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ে ইলিশার মাছঘাট, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাট এলাকার ১৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালবৈশাখী আঘাত হানে। প্রায় আধা ঘণ্টা ঝোড়ো বাতাস বয়ে যায়। আরও কিছুক্ষণ বৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার সকালে রাজাপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। ইউনিয়নের মিজিবাজার এলাকায় আবদুর রাজ্জাক মৌলভী জামে মসজিদের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে কালবৈশাখী।
ইউনিয়নের জোড়খাল এলাকার জেলে আবুল কালাম (৫০) জানান, মেঘনা নদীতে মাছ ধরে ফিরে আসার সময় ঝড়ে তাঁর নৌকা উল্টে যায়, তখন তাঁর ৩০ হাজার টাকার জাল ভেসে গেছে। তাঁরা ভাসতে ভাসতে নদীতীরে আসেন। তীর থেকে অন্য নৌকার সাহায্যে নৌকা উদ্ধার করেন। তবে জাল পাননি।
একই এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে সোনাই মাঝির (২৫) নৌকা-জাল সব ডুবে গেছে। এতে তাঁর ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর এলাকার আবদুস শহীদ বেপারীর (৪৫) জাল-নৌকা ডুবে গেছে। ঝড়ে ব্লকের সঙ্গে পিটিয়ে ফারুক মাঝির (২৬) ১ লাখ ২০ হাজার টাকার নৌকা ভেঙে গুঁড়া হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজাপুর এলাকার ২০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জেলে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয় না
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। সে কারণে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে হলে নেপালের ব্যবসায়ীদের ব্যয় বেশি হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডোর গড়ে উঠবে। এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো-অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এ বছর প্রায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে মেডিকেল পড়ে।
অনুষ্ঠানে খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর আবির ইমতিয়াজ, খুলনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক, ট্যুর ও ট্রাভেল অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।