Risingbd:
2025-10-03@07:04:07 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (১০-১৬ মে)

Published: 10th, May 2025 GMT

এ সপ্তাহের রাশিফল (১০-১৬ মে)

সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.

চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।

মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): পেশাগত কাজে মানসিক অস্থিরতা বাড়বে। আর্থিক দিক থেকে সমৃদ্ধ থাকবেন। পেশাগত  বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা আছে। প্রতিযোগিতামূলক কাজে সফলতা পাবেন। সহকর্মীর সহযোগিতা পেতে পারেন। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ।

আরো পড়ুন:

এ সপ্তাহের রাশিফল (৩-৯ মে)

এ সপ্তাহের রাশিফল (২৬ এপ্রিল-২ মে)

বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): পারিবারিক পরিবেশ আপনার অনুকূলে থাকবে। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। শত্রু সম্পর্কে সচেতন হোন। স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে।

মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): পেশাগত সফলতা পাবেন। ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে। আর্থিক ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য অনুকূল সময়। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে।

কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): মেজাজ চড়া থাকবে। আর্থিক বিষয়ে সফলতা আসবে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। স্পষ্ট কথা বলার জন্য অস্বস্তি বোধ করবেন। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ব্যবসায়িক কাজে সফলতা পাবেন। প্রিয়জনের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব বাড়তে পারে। 

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): একাকীত্ব অনুভব করবেন। আর্থিক বিষয়ে সফলতা আসবে। কর্পোরেট কাজে সফলতা পাবেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করবেন। প্রেমে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। পারিবারিক বিষয়ে নমনীয়তা প্রয়োজন। অমিতব্যয়ীতার কারণে দুশ্চিন্তা বাড়বে।

কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): আপনার সুনাম ও মর্যাদা বাড়বে। আর্থিক বিষয় নিয়ে চাপে থাকবেন। কর্মসূত্রে লাভবান হবেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করতে পারেন।

তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): অংশীদারি ব্যবসায় সাফল্য পাবেন। দাম্পত্য জীবনে সুখ অনুভব করবেন। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে মানসিক চাপ অনুভব করবেন। প্রিয়জনের সঙ্গে সন্দেহমূলক আচরণের জন্য দূরত্ব তৈরি হতে পারে। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করতে পারেন। ভ্রমণ শুভ।

বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে। আর্থিক ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য অনুকূল সময়। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন।

ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করুন। ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে। আর্থিক ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য অনুকূল সময়। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। ব্যবসা বাণিজ্যে লোকসান হতে পারে। প্রিয় কারো কাছ থেকে সহযোগিতা পাবেন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): মানসিক অস্থিরতা বাড়বে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। আবেগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে প্রিয়জনের সঙ্গে মান অভিমান বাড়বে। মানসিক প্রশান্তির জন্য ধ্যান, যোগব্যায়াম করুন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সফলতা পাবেন। অনেকে দূর ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): অর্থ সম্পদের সঠিক ব্যবহার করুন। ধৈর্য ও সহিষ্ণু আচরণের জন্য কর্মজীবনে সফলতা পাবেন। ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলুন। সম্পর্কে কিছু টানাপোড়েন থাকবে। শারীরিকভাবে কিছুটা সমস্যা থাকতে পারে। ভ্রমণ শুভ।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। পেশাগত কাজে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করুন। আত্মকেন্দ্রিক লোকদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল ব যবস য় ক য গ য গ র জন য প শ গত অন ক ল আর থ ক ভ রমণ করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

জ্যাকুলিন মার্স: ক্যান্ডি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, পোষা প্রাণীর খাবার ও দাতব্য কাজে বিশ্বখ্যাত

বিশ্বের সেরা ধনী নারীদের একজন জ্যাকুলিন মার্স। তিনি মার্স কনফেকশনারি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী। একই সঙ্গে তিনি বিশ্বের অন্যতম নিভৃতচারী ধনকুবেরও। ১৯৩৯ সালে ফরেস্ট মার্স সিনিয়র ও অড্রি রুথ মায়ারের ঘরে জন্ম নেওয়া জ্যাকুলিন বেড়ে ওঠেন এমন এক পরিবারে, যাদের সাফল্যের কাহিনি আমেরিকার ব্যবসায়িক ইতিহাসে অনন্য।

মার্সের পিতামহ দাদা ফ্রাঙ্ক সি. মার্স ১৯১১ সালে মার্স ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠা করেন। সাধারণ ক্যান্ডির রেসিপি দিয়ে এই ব্যবসার সূত্রপাত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছোট ব্যবসা থেকে তৈরি হয় মিল্কি ওয়ে, স্নিকার্সের মতো জনপ্রিয় চকলেট। ধীরে ধীরে তা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ক্যান্ডির পাশাপাশি পোষা প্রাণীর খাবার, সাধারণ খাদ্যপণ্য ও চুইংগামের মতো বহুবিধ খাতে এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। খবর ফোর্বস।

ফোর্বসের তালিকা অনুসারে, জ্যাকুলিন এখন বিশ্বের ৪৩তম শীর্ষ ধনী। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪০ দশমিক ৯ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৯০ কোটি ডলার। কিন্তু অনেক উত্তরাধিকারীর মতো তিনি নিছক মালিক হয়ে চুপচাপ বসে থাকেননি।

১৯৬১ সালে ব্রিন মাওর কলেজ থেকে নৃতত্ত্বে ডিগ্রি অর্জনের পর জ্যাকুলিন মার্স ইনকরপোরেটেডে যোগ দেন। প্রায় দুই দশক সেখানে কাজ করেছেন তিনি। কোম্পানির ফুড প্রোডাক্টস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তীকালে পরিচালনা পর্ষদে জায়গা করে নেন। ২০১৬ সালে পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়ে তাঁর করপোরেট অধ্যায়ের ইতি ঘটে। কোম্পানির ভেতরে তাঁর উত্তরাধিকার অবশ্য অক্ষুণ্ন থেকে যায়।

১৯৯৯ সালে জ্যাকুলিনের বাবা মারা গেলে মার্স ইনকরপোরেটেডের বিশাল অংশীদারত্ব তিন ভাইবোনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে জ্যাকুলিন কোম্পানির এক-তৃতীয়াংশ মালিকানা ধরে রেখেছেন। উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সেই শেয়ার এবং কোম্পানির ব্যবসায়িক সফলতার সূত্রে এখন তিনি ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থের মালিক।

সাধারণ জীবন

জ্যাকুলিন মার্স অন্যান্য ধনকুবেরের মতো জমকালো জীবন যাপন করেন না। তিনি সচরাচর কাউকে সাক্ষাৎ দেন না, সংবাদমাধ্যম থেকেও দূরে থাকেন। তাঁর নিজের নামের চেয়ে বেশি পরিচিত মার্স ব্র্যান্ড। তিনি বরং জনসমক্ষে পরিচিত হয়েছেন দাতব্য কাজ ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। তিনি ছিলেন স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের ট্রাস্টি। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল স্পোর্টিং লাইব্রেরি অ্যান্ড মিউজিয়ামের সঙ্গে জড়িত। ওয়াশিংটন ন্যাশনাল অপেরার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ছিলেন ন্যাশনাল আর্কাইভস ফাউন্ডেশনের পর্ষদ সদস্য। পরিবেশ রক্ষায়ও তিনি সক্রিয়। ভার্জিনিয়ায় নিজের জমি সংরক্ষণ ট্রাস্টের আওতায় দিয়েছেন, পরিচালনা করছেন একটি জৈব কৃষিখামার। অশ্বারোহণ সব সময় তাঁর নেশা। যুক্তরাষ্ট্রের ইকুয়েস্ট্রিয়ান টিমে তাঁর সম্পৃক্ততা থেকে বোঝা যায়, ব্যক্তিগত আগ্রহ ও জনকল্যাণকে তিনি কীভাবে একসূত্রে মিলিয়েছেন।

আজও জ্যাকুলিন মার্স জনসমক্ষে নেই, বরং গোপনেই চালিয়ে যাচ্ছেন দাতব্য কাজ, সংস্কৃতি ও অশ্বারোহণ কার্যক্রম। তাঁর ছেলে স্টিফেন ব্যাজার বর্তমানে মার্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। ফলে পরিবারের ব্যবসায়িক ঐতিহ্য অব্যাহত আছে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, মার্স ইনকরপোরেটেড যক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল পারিবারিক বেসরকারি কোম্পানিগুলোর একটি। এই কোম্পানির সফলতা প্রমাণ করে, গোপনীয়তা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করে প্রকাশ্যে শেয়ারবাজারের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব।

একমাত্র বিতর্ক

জ্যাকুলিনের জীবন অবশ্য বিতর্কহীন নয়। ২০১৩ সালে ভার্জিনিয়ায় তিনি এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর গাড়ি উল্টো লেনে চলে গিয়ে একটি মাইক্রোভ্যানকে ধাক্কা দিলে এক যাত্রী মারা যান এবং কয়েকজন আহত হন। তিনি নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালনার দায় স্বীকার করেন। শাস্তি হিসেবে আদালত তাঁকে জরিমানা করেন এবং তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। এই ঘটনাই হয়তো একমাত্র উপলক্ষ, যখন তিনি অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনামে চলে আসেন।

অনেকে বলেন, জ্যাকুলিন মার্স নিজের প্রচেষ্টা ও পারিবারিক উত্তরাধিকারের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। একদিকে তিনি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, অন্যদিকে কোম্পানিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব শ্রম এবং অংশগ্রহণও রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি শিল্প-সংস্কৃতি, পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষায় সমাজে অবদান রেখেছেন। প্রচারমুখর বা সেলিব্রেটি ধনকুবেরদের ভিড়ে তিনি আলাদা—অপরিসীম ধনী ও প্রভাবশালী, কিন্তু পাদপ্রদীপের আলোয় না থাকা নিস্তরঙ্গ জীবন যাপনকারী শীর্ষ ধনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্যাকুলিন মার্স: ক্যান্ডি সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী, পোষা প্রাণীর খাবার ও দাতব্য কাজে বিশ্বখ্যাত